মোঃ খলিলুর রহমান,সাতক্ষীরাঃ রঙের সঙ্গে তুলির শৈল্পিক ছোঁয়ায় যেন নতুন এক রূপ পেয়েছে প্রাণের শহর সাতক্ষীরা।রঙে রঙে নতুন সাজে সাজতে শুরু করেছে শহরের রাজপথ থেকে গলিপথ। পেশাদার শিল্পী না হয়েও শিল্পের সুষমায় প্রাণের উচ্ছ্বাস ঘটিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ যেন এক ভিন্ন সাতক্ষীরা।
শহরের ফুড অফিস সংলগ্ন ডিসি বাংলো, গার্লস স্কুল, নবারুণ স্কুলের দেয়ালগুলোতে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা রংতুলিতে ফুটিয়ে তুলেছেন সংস্কারের নির্দেশনা, স্বাধীনতার জয়গান, তারুণ্যের উন্মাদনা, ভালোবাসার উচ্ছ্বাস ও মানুষ এবং মানবতার জয়গান।
শিক্ষার্থীদের এই সৃজনশীল কাজে উৎসাহ জোগাচ্ছেন বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ। কেউ দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ কেউ উৎসাহ দিচ্ছেন শিক্ষার্থীদের আবার কেউ বা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
‘ভয়ে কাঁপে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর, স্বাধীনতার সূর্যোদয়, কত বিপ্লবী বন্ধুর রক্তে রাঙা বন্দীশালার ওই শিকল ভাঙ্গা, তারা কি ফিরিবে আজ? তারা কি ফিরিবে আজ সুপ্রভাতে, যত তরুণ অরুণ গেছে অস্তাচলে। ‘পানি লাগবে পানি, ‘৩৬ শে জুলাই’, মোরা ঝঞ্ঝার মতো উদ্দাম’- এ ধরনের স্লোগানে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা রংতুলিতে গেয়েছেন সাম্যের গান, তুলে ধরেছেন বৈষম্যের বিরুদ্ধে মানুষের অধিকারের কথা।
দেয়াল লিখনের সময় কথা হয় সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে। সারা দিন পরিশ্রম ও ধৈর্য সহকারে দেয়াল লিখনের কাজ করতে কেমন লাগছে জানতে চাইলে তারা সবাই সমস্বরে বলেন, খুবই ভালো লাগছে। এই দেয়াল লিখনের মধ্য দিয়ে আমরা বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে চাই। আর সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে প্রথমেই আমরা আমাদের প্রাণের শহরকে রঙে রঙে রাঙিয়ে তুলতে চাই। স্বৈরাচার পতনের মধ্য দিয়ে আমরা যে নতুন স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি দেয়ালের ক্যানভাসে রংতুলির আঁচড়ে জাতির কাছে আমাদের স্বপ্নের কথাগুলো তুলে ধরার জন্যই এই আয়োজন।