এম এস সজীবঃ বরগুনা সদর উপজেলার ৬নং বুড়িরচর ইউনিয়নের ১৫৭নং স্বনির্ভর চরকগাছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাংবাদিক ঢুকতে বাঁধা দিয়েছেন সহকারী শিক্ষক সাহিদা। এসময় আরো দুজন মহিলা শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, শিক্ষকদের অনিয়মের ফলে এই স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গেছে, সরকারি বরাদ্দের অর্থ আত্মসাৎ করে নিজের পকেট গরম রাখেন প্রধান শিক্ষক, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয় সেই সকল শিক্ষার্থীদের নাম খাতায়, সরকারি টাইমের পূর্বে স্কুল ছুটি দিয়ে চলে যান শিক্ষকরা। এসব অভিযোগে ওই বিদ্যালয়ে গেলে সহকারী শিক্ষক সাহিদা সাংবাদিকদের উদ্দ্যেশ্য করে বলেন, পার্মিশন নিয়ে আসেন তাহলে আপনাদের স্কুলে ঢুকতে দেয়া হবে। এমন কথা বলেই গেটে তালা লাগিয়ে দেন। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকাল তিন টার দিকে দৈনিক দ্বীপাঞ্চলের বার্তা-সম্পাদক জামাল মীর ওই স্কুলে যাবার পর তার সাথে এ ঘটনা ঘটে। বিদ্যালয়ে সাংবাদিক এসেছে খবর পেয়ে প্রধান শিক্ষক নরেন্দ্র সরকার ছুটে আসেন বিদ্যালয়ে। তিনি এসেও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তার বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কু-প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ছয় লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছেন বলেও তিনি অভিযোগ তোলেন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। এসব উল্টাপাল্টা কথা শুনে সংবাদকর্মী জামাল মীর বরগুনা শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন। স্কুলে তালা দেয়ার ঘটনায় বরগুনা সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা লায়লা জেরিনা আক্তার জানান, ১৫৭নং স্বনির্ভর চরকগাছিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকা (এটিইও)’র মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু জাফর মোসালে বলেন, আমি মিটিংএ ব্যস্ত আছি। আপনারা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করুন।