সাইফুর রহমান শামীম,, কুড়িগ্রাম।। কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বোয়ালমারী ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর চেয়ে শিক্ষক কর্মচারীর সংখ্যা বেশি হলেও দেখার জন্য কেউ নেই।। রোববার ( ২৯ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মাদ্রাসাটিতে শিক্ষকের সংখ্যা ১২ জন, কর্মচারীর সংখ্যা ৫ জন, শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ জন। ওই প্রতিষ্ঠানের এমন অবস্থাতেই কিভাবে সরকারিভাবে বেতন ভাতা সহ সকল সুযোগ-সুবিধা শিক্ষক-কর্মচারীরা পাচ্ছেন এ প্রশ্ন সচেতন মহলের। জানা গেছে ১৯৯৩ সালে নাগেশ্বরী উপজেলার বোয়ালমারী ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে সুচতুর সুপারেনটেন্ট সৈয়দ আলী আকন্দ তার মনগড়া ভাবে কমিটি গঠন করে নিয়োগ-বাণিজ্য সহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসলেও প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন সহ শিক্ষার্থী নেই এ নিয়ে তার যেন কোন মাথায় ব্যথা নেই। কিন্তু কাগজ-কলমে তার অনিয়ম ও দুর্নীতি ধরার উপায় নেই। খোঁজ নিয়ে জানা যায় কাগজ-কলমে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩২৩ জন, উপস্থিতি ৫০ জন দেখালেও রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। মাদ্রাসার শ্রেণিকক্ষে দশম শ্রেণীতে পাঁচজন, নবম শ্রেণীতে ১ জন, অষ্টম শ্রেণীতে ১ জন, সপ্তম শ্রেণীতে ২ জন, ষষ্ঠ শ্রেণীতে ১ জন শিক্ষার্থী পাওয়া যায়। অথচ এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপবৃত্তি পাচ্ছে প্রায় ৬০ জন। এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নাজিম উদ্দীন বলেন, এই এলাকা নদী ভাঙ্গন ও অভাবী শিক্ষার্থী হওয়ায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রতিষ্ঠানে কম। তবে অন্যদিন আসে আজ কম এসেছে। রোববার সাংবাদিকরা মাদ্রাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে মাদ্রাসার সন্নিকটের বাজারে পৌঁছা মাত্রই সুচতুর সুপারেনটেন্ট সৈয়দ আলী আকন্দ খবর পেয়ে মাদ্রাসা ত্যাগ করেন। মুঠোফোনে তার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন জরুরী কাজে বাইরে আছি। প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ১০ জন উপস্থিত এ বিষয়ে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠান বন্ধ, শিক্ষার্থীরা বাড়ি থেকে প্রতিষ্ঠানে আসতে চায় না, প্রতিষ্ঠান এলাকার লোকজন অশিক্ষিত সব মিলিয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতির সংখ্যা কম এ বিষয়ে তিনি অকপটে স্বীকার করেন। নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিব্বির আহমেদ মুঠো ফোনে বলেন, আমি এইমাত্র বিষয়টি জানলাম। প্রতিষ্ঠানের প্রধান কে ডেকে পরামর্শ করবো কিভাবে শিক্ষার্থী বাড়ানো যায়