এম এ হানিফ রানা,সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ গাজীপুর জয়দেবপুরে ” হলি ল্যাব হসপিটালে” ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। আছিয়া খাতুন (২৬) নামের ঐ রোগি গলায় টনসিল জনিত সমস্যার অপারেশন করানোর জন্য হলিল্যাব হাসপাতালে ভর্তি হোন। এবং অপারেশন পূর্ববতী সময়ে ইনজেকশন দেয়ার সাথে সাথেই রোগী মারা যান বলে রোগির সাথে আসা আত্মীয় স্বজনরা জানান।
সরেজমিনে হাসপাতালে সংবাদ সংগ্রহের জন্য গেলে জানা যায়, আসিয়া খাতুনের গ্রামের বাড়ি রাঙামাটি, পিতা ওসমান গনি ও মাতা রোকেয়া বেগম। তিনি দীর্ঘ দিন যাবত গাজীপুরের মহানগরের গাছা থানার ভোগড়া বাইপাস এলাকায় স্বামী আমির হামজার সহিত বসবাস করে আসছেন। স্ত্রী আছিয়া খাতুনের গলায় টনসিল সমস্যা দেখা দিলে তিনি গাজীপুরের জয়দেবপুর শীববাড়ী হলিল্যাব হাসপাতালে নাক,কান,গলা বিশেষজ্ঞ সার্জন ডা:মোস্তফা কামাল হোসেনকে দেখান। পরিক্ষা নিরিক্ষার পর অপারেশন করতে হবে বলে ডাক্তার জানান।
তিনি অদ্য (১৩ নভেম্বর, ২০২৪ইং) ১২.০০ ঘটিকায় সময় গাজীপুরে হলি ল্যাব হাসপাতালে ভর্তি হন। ভর্তি হওয়ার আনুমানিক আধাঘন্টা পর কর্তব্যরত ডাঃ মোস্তফা কামালের নির্দেশে সেবিকা পর পর দুটি ইনজেকশন পুশ করেন বলে তার স্বামী সহ অনান্যরা জানান । ইনজেকশন পুশ করার সাথে সাথেইন রোগী খিচুনী শুরু এবং মুখে ফেনা আসতে শুরু করে। এবং অচেতন হয়ে যায়।উক্ত হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তার রোগি মারা গেছে বলে জানান। রোগী মারা যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পরার সাথে সাথেই হাসপাতালের স্টাফ ও মালিকপক্ষের লোকজন হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যেতে শুরু করেন। রোগী মৃত্যুর খবর শুনার পর উশৃংখল জনতা হাসপাতালের আংশিক গ্লাস ভাংচোর করেন। উক্ত খবর প্রকাশের সাথে সাথে হাসপাতালে বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিক ও মেট্রো সদর থানার এস আই মিজানসহ তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। এবং পটিবেশ পর্যালোচনা করে মৃতকে ভ্যান যোগে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজ উদ্দিন আহমদ হাসপাতালে নিয়ে যান। মৃতের স্বামী আমির হামজা জানান, উক্ত হাসপাতালের উল্লেখিত ডাক্তারসহ দোষী সকলকে আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচারের দাবি জানান।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং কোন ডাক্তার না পাওয়ার ম্যানেজার লিমনকে ফোন করিলে তিনি গ্রামের বাড়ীতে আছেন এবং তাহার অনুপস্থিতিতে ম্যানেজার মামুনের ফোন নাম্বার দেন। কিন্তু তাহার নাম্বারে পাওয়া যায় নাই।
রোগীর মৃত্যুর কারণে আশপাশের কেবিনের রোগী, অন্যান্য রোগী, রোগীর আত্মীয়-স্বজনসহ উপস্থিত জনতা উদ্ধিগ্ন। তারা জানান, যেখানে সেবা দেওয়ার কথা সেখানেই যদি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে তাহলে কোথায় সেবা নিবে রোগীগণ। আরও জানান, এসকল ডাক্তার ও হাসপাতালগুলি আইনের আওতায় এনে বন্ধ করে দেওয়া হউক।
এ বিষয়ে গাজীপুর সদর থানার ওসি মোঃ আরিফুর রহমান জানান, ঘটনাস্থলে আমাদের সাব ইন্সপেক্টর মোঃ মিজান রয়েছেন এবং লাশ ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। মৃত্যের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্হা গ্রহন করবো। এবং যদি হাসপাতালের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।