বিশেষ প্রতিনিধিঃ ভোলার লালমোহনে ভোলা মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর ভোলা হানাদার মুক্ত হয়।
মঙ্গলবার সকালে লালমোহন উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহ আজিজ এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এহসানুল হক শিপন, থানা অফিসার ইনচার্জ মো. সিরাজুল ইসলাম, লালমোহান ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. মোশাররফ হোসান, সমবায় কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাদী, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা খলিলুর রহমান ইমন, নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সোহেল, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কানিজ মার্জিয়া, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা রীমা আক্তার, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আক্তারুজ্জমান মিলন, একাডেমিক সুপার ভাইজার মদন মোহন মন্ডল, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শফিউল্লাহ হাওলাদার, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ লালমোহন উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আব্দুল হক, সাংবাদিক জহিরুল হক সেলিম, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, আজ ১০ ডিসেম্বর ভোলা হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে পুরো ভোলা পাকহানাদার মুক্ত হয়। ঐসময় ১০ ডিসেম্বর ভোররাতে ভোলা লঞ্চ ঘাট থেকে লঞ্চ যোগে পাকবাহিনী ভোলা থেকে পালিয়ে যেতে শুরু করে। মুক্তিযোদ্ধারা তাদের আটকানোর চেষ্টা করেও আধুনিক অস্ত্রের কাছে ব্যার্থ হয়। পরে মিত্র বাহিনীকে খবর দেয়া হলে চাঁদপুরের কাছে মিত্র বাহিনীর বিমান হামলায় পাকসেনাদের বহনকারী লঞ্চটি ডুবে যায়।
পাকবাহিনী পালিয়ে যাওয়ার পর ১০ ডিসেম্বর সকালে কালেক্টরেট ভবনের সামনে পতাকা উড়িয়ে ভোলাকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করে মুক্তিযোদ্ধারা। এভাবেই ভোলা হানাদার মুক্ত হয়।