মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও:
ঠাকুরগাঁওয়ে এ বছর গমের আবাদ কিছুটা কমেছে। কৃষকেরা গত বছর গমের দাম কম পাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা যায়। এ বছর ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন উপজেলার ও সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে ঘুরে দেখা যায়, গম পাকা শুরু হয়েছে। আর কয়েকদিনের মধ্যে গম কাটা শুরু করবেন কৃষকেরা।
তবে এ বছর গমের ভাল ফলন ও দামের আশা করছেন কৃষকেরা। বর্তমানে কাচা গম ১ হাজার টাকা মন হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। শুকনো গমের দাম আরও বাড়বে বলে জানা যায়। সব কিছু মিলিয়ে গম নিয়ে স্বপ্ন বুনছেন কৃষকেরা।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভেলাজান মাষ্টারপাড়া গ্রামের কৃষক আবুল কালাম আজাদ জানান, তিনি এ বছর সাড়ে ৩ বিঘা (১৭৫ শতক) জমিতে গম আবাদ করেছেন। ফলনও হয়েছে ভাল। গম পাকা শুরু করেছে। আর কয়েকদিনের মধ্যে গম কাটবেন বলে জানান তিনি। একই সাথে গম আবাদ কম করার কারন হিসেবে সার ও কীটনাশকের দাম তুলনামুলক বেশিকেও দায়ী করেন তিনি।
সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামের কৃষক সাদেকুল ইসলাম জানান, ইতিমধ্যে গমের ক্ষেত সোনালী আকারে রুপ নিয়েছে। নিয়মিত সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করছেন তিনি। ফলন ভাল হওয়ার আশা করলেও দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তিনি।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাসেল ইসলাম জানান, জেলায় এ মৌসুমে গম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয় ৪৭ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে। যার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৭১ মেট্রিক টন। আবাদ হয়েছে ৪৫ হাজার ১৯২ হেক্টর জমিতে। যা গত বছরে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল ৪৭ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমি। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯৩৮ মেট্রিক টন।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ -পরিচালক কৃষিবীদ আবু হোসেন জানান, বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি গম আবাদ হতো ঠাকুরগাঁও জেলায় । কিন্তু গত বছর গমের দাম কম থাকায় কৃষকেরা এ বছর গমের আবাদ কিছুটা কম করেছেন।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে ভুট্ট্রার আবাদ বেড়েছে। গমের চেয়ে বেশি লাভজনক হওয়ায় কৃষকেরা ভুট্ট্রা চাষে বেশি ঝুকছেন। তার পরও কৃষকেরা গমের ন্যর্য মূল্য পাবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।