লিপন খান, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
র্যাব-১৪ এর সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ কর্তৃক অভিযানে নরসিংদী থেকে কিশোরগঞ্জে প্রেমিকের সাথে দেখা করতে আসা তরুণী ধর্ষণের মূল ও ০১ নং এজাহার নামীয় আসামীকে কিশোরগঞ্জ সদর থানাধীন মারিয়া এলাকা হতে আটক করে।গত মাস খানেক আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নরসিংদীর এক তরুণীর সাথে কিশোরগঞ্জের মোঃ আজহারুল ইসলামের পরিচয় হয় এবং আস্তে আস্তে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
পরবর্তীতে গত ০৫ এপ্রিল ২০২২খ্রিঃ তারিখ বিকালে ভিকটিম নরসিংদী থেকে কিশোরগঞ্জ আসলে আজহাররুল ও তার বন্ধু রাজনের সাথে দেখা হয়। অতঃপর বিবাদীদ্বয় ভিকটিমকে নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করে। ঘোরাফেরা শেষে বিবাদী আজহারুল ভিকটিমকে তার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়িতে না নিয়ে গত ০৫/০৪/২০২২খ্রি. রাত আনুমানিক ১০.০০ ঘটিকার সময় কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন দনাইল সাকিনস্থ জনৈক জামাল মিয়ার ভুট্রা ক্ষেতে নিয়ে ০১ নং বিবাদী মোঃ আজহারুল ইসলাম ০২নং বিবাদী রাজন মিয়ার সহযোগিতায় উক্ত ভিকটিমকে উক্ত ভুট্টা ক্ষেতে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণ শেষে গত ০৬/০৪/২০২২খ্রি. সকাল ০৬.০০ ঘটিকায় জামাল মিয়ার বাড়ির সামনে ফেলে রেখে চলে যায়।
উক্ত ঘটনায় গত ০৭ এপ্রিল ২০২২ তারিখ কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং-১৩, তারিখ ০৭ এপ্রিল ২০২২, ধারা-নারী ও শিশু দমন আইন ২০০০ সনের (সংশোধনী ২০০৩) ৯(১)/৩০। পরবর্তীতে উক্ত ঘটনা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচার হলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং উক্ত আসামীদ্বয় বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে যায়।র্যাব-১৪, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। ০১নং এজহার নামীয় আসামী মোঃ আজহারুল ইসলাম(২২), পিতা-আসাদ মিয়া, সাং-দনাইল(২নংওয়ার্ড), থানা ও জেলা-কিশোরগঞ্জ’কে র্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার মেজর মোঃ শাহরিয়ার মাহমুদ খান এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন মারিয়া এলাকা হইতে বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে অদ্য ১৮/০৪/২০২২খ্রি. তারিখে রাত আনুমানিক ০২.৪০ ঘটিকায় গ্রেফতার করে উক্ত ঘটনা সংক্রান্তে গ্রেফতারকৃত আসামীকে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উক্ত মামলার ০২নং এজহার নামীয় আসামী রাজন মিয়াকে ধরতে র্যাবের অভিযান অব্যহত রয়েছে।