শাহজাদপুর,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে শাহজাদপুরে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় দুই দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রথম দিন সোমবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন-১ চত্বরে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের শহিদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে নীরবতা পালন এবং তাঁদের স্মৃতির স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়। সন্ধ্যা ৭.৩০ টায় লেকচার থিয়েটারে ‘১৫ আগস্ট: শোক ও শক্তির পাঠ’ শিরোনামে একক বক্তা হিসেবে বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম।
উপাচার্য তাঁর বক্তব্যের শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টে নিহত সকল শহীদ এবং ৩ নভেম্বর জেলহত্যার শিকার জাতীয় চার নেতাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দলনে নিহত শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর শক্তি ছিল বাঙালির প্রতি অপার প্রেম। আর এই প্রেমে তার সঙ্গী ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু, নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে ভারতের স্বীকৃতি দেবার আগে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। জাতির পিতা তার সময়ের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন। নেতাজির সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর দুবার সাক্ষাৎ হয়েছিল। তিনি নেতাজির আদর্শের পথিক ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার রূপকার। জনকল্যাণমুখী বাংলাদেশের স্থপতি আমাদের জাতির পিতার হাত ধরে ভিত্তি রচিত হয়েছিল আধুনিক বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থার। উদার অসাম্প্রদায়িক বাঙালি সংস্কৃতির সার্থক উত্তরাধিকার বঙ্গবন্ধু। শিক্ষার সঙ্গে সংস্কৃতির মেলবন্ধন ঘটাতে জাতির পিতার শিক্ষাদর্শ আমাদের পাথেয়। আজ শোকের দিন, নতুন করে শপথ নেয়ার দিন। তিনি, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত, তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তি কার্যকর করার দাবি জানান। আলোচনাসভা শেষে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ কর্তৃক ‘আগস্ট ১৯৭৫’ চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রথম দিনের কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটে।