জাকির হোসেন, বানারীপাড়া প্রতিনিধি// বরিশালের বানারীপাড়ার চাখার বাজারে একই রাতে দুই গার্মেন্টস দোকানে তালা কেটে নগদ টাকা, স্বর্নালঙ্কার ও লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি হবার ঘটনা ঘটেছে। চাখার বাজারের মিজানুর রহমান সত্ত্বাধিকারী পালকি ফ্যাশন ও ফারুক হোসেন সত্ত্বাধিকারী নুপুর ফ্যাশনে শুক্রবার দিবাগত রাতে পিছনের স্টিলের দরজার তালা কেটে দুবৃত্ত্বরা দোকানে প্রবেশ করে দুই দোকানের নগদ টাকা ও মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। চাখার বাজারে রসিদ, বাবুল, মজুবুর রহমান নামের তিন জন পাহাড়াদার রয়েছে। উপস্থিত লোকজন জানায় রসিদ পাহারাদার চুরির পরের দিন সকালে ঘটনাস্থলে আসলেও সেখান থেকে দৌড়ে পলায়ন করে। পরের দিন বাজারের ব্যবসায়ীরা চুরির ঘটনাটি নিয়ে বসলে রসিদকে ডেকেও পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে ডেকে আনা হয়। পালকি ফ্যাশন সত্ত্বাধিকারী চাখার ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক মিজানুর রহমান বলেন প্রতিদিনের ন্যায় দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যাই। সকালে এসে সামনের সাটার খুলতেই দেখি পিছনের সাটারের অর্ধের খোলা। তালা ভেঙ্গে কে বা কাহারা দোকানে ডুকে নগদ ১৫০০০ টাকা, ১২ আনা ওজনের স্বর্নালংকার ও দোকানের বেশ কিছু থ্রীপিচ ও কাপড় নিয়ে গেছে। নুপুর ফ্যাসনের স্বত্ত্বাধিকারী চাখার ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য ফারুক হোসেন বলেন তার পিছনের সাটার সাবল দিয়ে ফাঁক করে ইট দিয়ে চোর ভিতরে প্রবেশ করে নগদ ৩০/৩৫ হাজার টাকা ও জামা কাপড় চুরি করে নিয়ে যায়। চাকার বাজারে প্রায় ৫০০ দোকান রয়েছে। দোকান প্রতি ১০০ টাকা করে চাদা আদায়ে মোট ৫০ হাজারের মত টাকা আদায় হয়। সেই টাকা দিয়ে তিনজন পাহাড়াদার রাখা হয়েছে। বিগত দিনে ও চাখার বাজারে এই পাহাড়াদারেরা থাকা অবস্থায় ৬/৭ টি চুরি সংঘঠিত হয়েছে। যার কোন তদন্ত কিংবা সুষ্ঠ সমাধান আজ ও হয়নি। চোর অধরাই থেকে গেছে। চাখার বাজার কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মজিবুল ইসলাম টুকু বলেন চাখার বাজারে পাহারাদার তেমন সক্রিয় নয়। প্রশাসনের কাছে চুরির অভিযোগ দিলে অভিযোগ অভিযোগের মতই থেকে যায়। তদন্তের কোন অগ্রগতি হয়না। আমরা বিষয়টি নিয়ে বসেছি। পাহাড়া জোড়ালো করার চেষ্টা করতেছি। অনেক দোকার ব্যবসায়ী আক্ষেপের সহিত বলেন আমাদের নিরাপত্ত্বা কোথায়। পাহাড়াদার তিন জন। তারপর ও যদি দিনের পর দিন চুরি হতেই থাকে তাহলে আমাদের ব্যবসার কি পরিনতি হবে? ব্যবসায়ীদের দাবী চোর দূরের নয়, সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় এই চোর চক্রকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিলে ভবিষ্যতে চাখার বাজার সুরক্ষিত থাকবে। আমরা নিশ্চিন্তে ব্যবসা করতে পারবো।