মাসুদ রানা জেলা প্রতিনিধি গাজীপুরঃ উৎসাহ উদ্দীপনা আর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সুলতান মেমোরিয়াল কলেজের (২০২৩-২৪) শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার কলেজের ছায়াবিথী মঞ্চে দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠান করা হয়। বৃহস্পতিবার (০৫ অক্টোবর ) সকাল ১০ ঘটিকা থেকেই নবীন শিক্ষার্থীরা কলেজ নির্ধারিত টি-শার্ট পরে পরিপাটি হয়ে কলেজ ক্যাম্পাসে আসতে শুরু করে। নবীন-প্রবীন শিক্ষার্থীদের মিলনে কলেজে এক অন্যরকম অনুভূতির সৃষ্টি হয়। অনুষ্ঠানের প্রথমেই জাতীয় সংগীত রচনা করার মধ্যে দিয়ে অতিথিগণদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়। পরে অতিথিরা নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। পরে অতিথিগন একে একে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান করেন। উক্ত নবীন বরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জনাব আলহাজ্ব এ্যাডঃ আখতার হোসেন,, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ গাজীপুর মহানগর। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জনাব আলহাজ্ব কাজী আতাউর রহমান, কাউন্সিলর ৪ নং ওয়ার্ড গাজীপুর মহানগর” প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ গাজীপুর মহানগর। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন আমি ওমরা শেষ করে বাসায় এসে সুলতান মেমোরিয়াল কলেজেই প্রথম অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছি আমি ৪ নং ওয়ার্ডবাসীর কাছে চির কৃতজ্ঞ তাহারা আমাকে বিনা অর্থে তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করেছেন। সেই সাথে সুলতান মেমোরিয়াল কলেজের তৃতীয় চতুর্থ ও ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের ইংরেজিতে বক্তব্য দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলহাজ্ব কাজী আতাউর রহমান বলেন আসলেই চমৎকার আজকের শিশুই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ তাই শিশুকে সঠিকভাবে গড়ে না তুলতে পারলে ভবিষ্যৎ কখনোই ভালো কিছু আশা করতে পারে না। অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন জনাব মোঃ আবু ইউসুফ মাস্টার অবসরপ্রাপ্ত সরকারি প্রধান শিক্ষক। এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মোঃ ইসমাইল দেওয়ান সভাপতি ৪ নং ওয়ার্ড কেজি স্কুল এসোসিয়েশন, আমন্ত্রিত অতিথি মোঃ বাদল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ৪ নং ওয়ার্ড কেজি স্কুল এসোসিয়েশন এবং ৪ নং ওয়ার্ড কেজি স্কুল অ্যাসোসিয়েশনের অন্তর্ভুক্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, পরিচালকগণ উপস্থিত ছিলেন। সুলতান মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মোঃ আকরাম সুলতান বলেন শিক্ষা মানুষের মৌলিক অধিকার। শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর দেশের সম্পদ। শিক্ষা এমন একটি অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ যা মানসিক ও মেধা শক্তির বিকাশ ঘটায়। জীবনযুদ্ধে জয়ী হওয়ার প্রেরণা যোগায়। জীবনের অন্ধকার দূর করে। ব্যক্তিজীবন, পারিবারিক জীবন, সমাজ জীবন, রাষ্ট্রীয় তথা জাতীয় জীবনে গুণগত শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। শিক্ষার গুরুত্ব কি? এটি উপলব্ধি করেই গড়ে উঠেছে মানুষ গড়ার কারখানা সুলতান মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শুধুমাত্র পুঁথিগত বিদ্যা হজম করে কোন শিক্ষার্থী পূর্ণ ভাবে বিকশিত হতে পারেনা। আমরা চাই একজন শিক্ষার্থীকে সবদিক থেকে পরিপূর্ন মানুষ রূপে গড়তে। শিক্ষার্থীর সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের সুযোগ সবাই সৃষ্টি করতে পারে না। সহায়ক পরিবেশের জনসচেতনতা দায়িত্ববোধ ও কর্তব্য পরায়ণতা সৃষ্টি করতে হবে। আমরা এ সকল প্রচেষ্টা দ্বারা অঙ্গীকারবদ্ধ হই সুলতান মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ কে এদেশের প্রথম সারির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে চাই ইনশাল্লাহ। তিনি আরো বলেন আমাদের দ্বিতীয় তৃতীয় ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরাও ইংলিশে বক্তব্য রাখতে পারেন যা বর্তমান একজন ইংলিশ মিডিয়ার স্টুডেন্ট ছাড়া সম্ভব না। কিন্তু আমরা অসম্ভবকেও সম্ভব করতে সক্ষম হয়েছি। কারন আমাদের প্রতিটি শিক্ষকই উচ্চশিক্ষিত। উচ্চশিক্ষিত শিক্ষক মন্ডলী ছাড়া কখনোই এরকম পরিপাটি করে রাখা সম্ভব না কারণ আমি নিজেই যদি কিছু না জানি তাহলে শিশুকে কি শিক্ষা দেবে এটাই ভেবে উচ্চশিক্ষিত শিক্ষক মন্ডলীগণ নিয়োগ দিয়েছি আমাদের এই প্রতিষ্ঠানে কারণ আমার মূল উদ্দেশ্য জাতিকে জাগ্রত করা জাতির ভবিষ্যৎ নষ্ট করা নয়,, তাই আমি অভিভাবকদের বলবো আপনাদের ছেলে মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করার আগে একটু হলেও আমার স্কুলটি পরিদর্শন করে যাবেন” আমাদের শিক্ষক মন্ডলীর শিক্ষাগত যোগ্যতা স্কুলের পরিবেশ লেখাপড়ার মান বেতনের তালিকা সকল কিছু বিবেচনা করে যদি আপনার সন্তানকে আমাদের স্কুলে লেখাপড়া করাতে উৎসাহিত হন” তবেই আমরা আপনার ছেলেকে আমাদের প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ করে দেবে এছাড়া আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের ভুলভাল বুঝিয়ে ছাত্র সংগ্রহ করতে যাব না কারণ এগুলি তারাই করে যাদের স্কুলের শিক্ষার মান অতি নগণ্য। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা ও সার্বিক সহযোগিতায় দায়িত্বে ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পরিষদ কমিটির সদস্য হাজী মোঃ ইদ্রিস আলী প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সুলতান মেমোরিয়াল কলেজ ” মোঃ আলী হোসেন প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুলতান মেমোরিয়াল কলেজ” মোঃ আনোয়ার হোসেন প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি সুলতান মেমোরিয়াল কলেজ, মোঃ আমজাদ হোসেন প্রতিষ্ঠাতা সহঃ-পরিচালক সুলতান মেমোরিয়াল কলেজ। আলোচনা শেষে ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক ও সকল অতিথির মাঝে খাবার বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।