আরিফুজ্জামান চাকলাদার ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় উপজেলায় দুটি ইউনিয়নে ছয়টি গ্রামে ঘূর্ণি ঝড়ে শতাধিক ঘরবাড়ি, গাছপালা উপড়ে পড়া, সারা দিন বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে সংবাদ পাওয়া যায়। সরজমিনে যানা যায়, ৬০-৭০ টি ঘরবাড়ি,কমপক্ষে তিন শতাধিক গাছ উপড়ে পড়েছে। বিদ্যুতে খুঁটি উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগও বন্ধ ছিল সারা দিন। তবে ঝড়ে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলা সদর ইউনিয়ন ও টগরবন্ধ ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। তবে প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের নাম, পরিচয় ও তালিকা পাওয়া যায়নি। স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। দুপুর সোয়া ৩টার দিকে দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণি ঝড় স্বল্প সময় স্থায়ী ছিল। তাতেই উপজেলার সদর ইউনিয়ন বিদ্যাধর, ব্রাহ্মণ-জাটিগ্রাম, বেজিডাঙ্গা ও টগরবন্ধ ইউনিয়নের মালা, কৃষ্ণপুর-টগরবান, তিতুরকান্দি গ্রামের কাচাপাকা বাড়িঘর, গাছপালা ক্ষতিগ্রস্ত ও ফসলি জমি নষ্ট হয়েছে। ফরিদপুরের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আলফাডাঙ্গা সাব জোনাল অফিসের এজিএম ফাহিম হাসান বলেন, ‘আলফাডাঙ্গার পুরো উপজেলা নয়। ঝড়ে দুইটি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুতের তিনটি খুঁটি ভেঙে পড়ে গেছে। আরও অনেক আঁকাবাঁকা হয়ে পড়েছে। আমাদের অফিসের লোকজন কাজ করছে। আশা করি, শুক্রবারের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে।’ আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ বলেন, ‘গতকাল বৃষ্টি ভিতরে হঠাৎ বিকেলের ৩.৩ টা দিকে ঝড় হাওয়া দুই ইউনিয়নে ৬টি গ্রামের প্রায় ৬০ -৭০ টি কাঁচাপাকা বাড়িঘর, গাছপাল ও বিদ্যুতে খুটি উপড়ে পরে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খবর পেয়ে উদ্ধারকর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। বৃষ্টির মধ্যে ভিজে উদ্ধারকাজ করা হয়েছে। ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। স্বাভাবিক হতে সময় লাগতে পারে। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোসহ তালিকা করা হবে।ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হক বলেন,আমরা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ফায়ার সার্ভিস কাজ করেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করার কথা বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।’