মোঃ ওসমান গনি ইলি কক্সবাজারঃ কক্সবাজারের সদর থানাধীন খুরুশকুলের খুলিয়া পাড়া-ছনখোলা এলাকায় দেশীয় তৈরী অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিরত অবস্থায় দেশীয় তৈরী অস্ত্র-শস্ত্র উদ্ধারসহ চক্রের ০৯ জন ডাকাত র্যাব-১৫ কর্তৃক গ্রেফতার; ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ০২টি ব্যাটারীচালিত টমটম/অটো জব্দ র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের সৃষ্টিলগ্ন থেকে বাংলাদেশে অপরাধ নির্মূলে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে আসছে। কক্সবাজারে চুরি-ডাকাতি ও ছিনতাই এর প্রবণতা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে পর্যটক ও স্থানীয় জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করতে র্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারী বৃদ্ধি করে। র্যাব-১৫ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় অপরাধের সাথে জড়িত চক্রগুলোকে গ্রেফতারসহ জেলার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য র্যাবের আভিযানিক দল সদা অভিযান পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন এলাকায় সংঘঠিত চুরি-ডাকাতি ও ছিনতাই এর সাথে জড়িত অপরাধীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১৫ অনুসন্ধানে নামে। একপর্যায়ে গত ০৪ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ র্যাবের আভিযানিক দল গোপন সূত্রে জানতে পারে যে, কক্সবাজার জেলার সদর মডেল থানাধীন খুরুশকুল ইউনিয়নের ০৯নং ওয়ার্ড খুলিয়া পাড়া-ছনখোলা এলাকায় অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন লোকের সন্দেহজনক একটি ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রসহ সমবেত হয়ে ডাকাতি সংঘটনের উদ্দেশ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। উক্ত তথ্যের প্রেক্ষিতে রাত অনুমান ২২.১০ ঘটিকার সময় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর সিপিএসসি’র একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ডাকাত চক্রটি র্যাবের অভিযানিক দলের উপস্থিতি বুঝতে পেরে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রসহ দিক-বিদিক দৌড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টাকালে চক্রের ০৯ জন ডাকাতকে র্যাব গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে ধৃত ডাকাত চক্রের হেফাজত হতে সর্বমোট ০১টি হাসুয়া, ০১টি মাঝারি ধরণের চাকুর, ০৪টি সুইচ গিয়ার চাকু, ০৩টি এন্ড্রয়েড ফোন, ০৫টি বাটন ফোন, ০৭টি সিম কার্ড, নগদ ৩,৫১৫ (তিন হাজার পাঁচশত পনের) টাকা উদ্ধার এবং ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত ০২টি টমটম/অটো (যার লাইসেন্স নং যথাক্রমে ১৫৮৩ ও ১৫৮১) জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত ডাকাত চক্রের সদস্যদের বিস্তারিত পরিচয়ঃ ১। সাইফুল ইসলাম প্রকাশ সাইফুল করিম (২৪), পিতা-ফিরোজ মিয়া প্রকাশে পেঠাইয়া, সাং- মেহেদী পাড়া, ০৮নং ওয়ার্ড, খুরুশকুল ইউনিয়ন, কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজার। ২। মোঃ রাশেদ প্রকাশ বাবুল দাশ (২৩), পিতা-শ্যামাচরণ দাশ, সাং- হিন্দুপাড়া, ০২নং ওয়ার্ড, চকরিয়া পৌরসভা, থানা-চকরিয়া, জেলা-কক্সবাজার। ৩। মোঃ আরিফ হোসেন (২৩), পিতা-আনোয়ার হোসেন রানা, সাং-উত্তর মিঠাছড়ি, ০২নং ওয়ার্ড, জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন, থানা-রামু, জেলা- কক্সবাজার। ৪। মোঃ তারেক (২২), পিতা-হাসেম, সাং-লাইট হাউজ, ১২নং ওয়ার্ড, কক্সবাজার পৌরসভা, থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজার। ৫। মোঃ ইমরান প্রকাশ আরমান (২৪), পিতা-মৃত আনোয়ার, সাং-হোয়াইক্যং উত্তর পাড়া, ০৯নং ওয়ার্ড, হোয়াইক্যং ইউনিয়ন, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার। ৬। মোঃ হান্নান (১৯), পিতা-মানিক মিয়া, সাং-নতুন বাহারছড়া, ০২নং ওয়ার্ড, কক্সবাজার পৌরসভা, থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজার। ৭। মোঃ হাসান (২৪), পিতা-রোস্তম আলী, সাং-ঘোনার পাড়া, ০৮নং ওয়ার্ড, কক্সবাজার পৌরসভা, থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজার। ৮। মোঃ তাহসিন (১৯), পিতা-নূর আহাম্মদ, সাং-খুরুশকুল, ০৬নং ওয়ার্ড, থানা-কক্সবাজার সদর, জেলা-কক্সবাজার। ৯। মোঃ শাহ ইশাম (১৯), পিতা-সালামত উল্লাহ, সাং-গোয়ালিয়া পালং, ০৮নং ওয়ার্ড, খুনিয়া পালং ইউনিয়ন, থানা-রামু, জেলা-কক্সবাজার। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা র্দীঘদিন ধরে অপরাধমূলক নানাবিধ কর্মকান্ডের সহিত জড়িত রয়েছে মর্মে জানা যায়। আরো জানা যায়, চক্রটি একত্রে সমবেত হয়ে পরস্পর জ্ঞাতসারে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রসহ উক্ত স্থানে ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে অবস্থান করছিল। এছাড়াও ইতিপূর্বে চক্রটি কক্সবাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে পর্যটক ও স্থানীয় জনসাধারণকে অস্ত্র-শস্ত্রের ভয়-প্রীতি প্রদর্শন করে ডাকাতি ও ছিনতাই এর মত নানাবিধ অপরাধ সংঘঠিত করে আসছিল বলে জানা যায়। উদ্ধারকৃত আলামতসহ গ্রেফতারকৃত ০৯ জন ডাকাতের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার সদর মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।