মুশফিক হাওলাদার বিশেষ প্রতিনিধি:
মো. আবিদ। বয়স মাত্র দেড় বছর। তার দুইটি কিডনিই রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসার জন্য দ্রুত তার তিনটি অপারেশন প্রয়োজন। এজন্য লাগবে প্রায় ৪ লক্ষ টাকা। শিশু আবিদের বাবা মারা গেছে মাত্র ২ মাস পূর্বে। এক বোন ২ ভাই এর মধ্যে আবিদ সবার ছোট। বাবা মারা যাওয়ার পর তার পরিবার বর্তমানে অসহায় অবস্থায় রয়েছে। পারিবারিক অর্থনৈতিক অসচ্ছলতার কারনে দাদা ও চাচা না থাকায় আশ্রয় হয়েছে তাদের মামা বাড়ীতে। তাই আবিদের মামা সমাজের বিত্তবানসহ শিশু আবিদকে বাচাঁতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন। আবিদের মামার বাড়ী ভোলার লালমোহন পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড ইমাম সাহেবের বাড়ী।
আবিদের মামা লালমোহন উপজেলা মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা নুরুল্যাহ জানান, আবিদের বাবা নুরে আলম রোমান ভোলা সদরে গ্রামীন ফোনের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলো। গত অক্টোবর মাসের ৯ তারিখ আবিদের বাবা ভোলা সদরে রোড এক্সিডেন্টে মারা যায়। এরপরই আমরা লক্ষ্য করলাম আবিদের পেট বড় হয়ে যাচ্ছে, ফুলা ফুলা ভাব এবং অনবরত প্রসাবের নালীদিয়ে ফোটা ফোটা প্রসাব পড়ছে। তখন আমরা ভোলা সদরে ডাক্তার দেখানোর পর তারা পরামর্শ দিলো আবিদকে ঢাকাতে উন্নত চিকিৎসা করানোর জন্য। আমরা ওকে প্রথমে ঢাকার ইবনেসিনা হাসপাতালে দেখালাম। ইবনেসিনার ডাক্তারগণ পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বললেন আবিদকে (পিজি) বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজের ডাক্তারদেরকে দেখানোর জন্য। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজে ডাক্তারগণ বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর বললেন ওর দুইটি কিডনিই রোগে আক্রান্ত। এর চিকিৎসা দ্রুত করতে হবে। এক মাসের মধ্যে ১টি মেজর অপারেশন এবং ২টি ছোট অপারেশন করতে হবে। অপারেশনসহ সকল খরচ পড়বে প্রায় ৪ লক্ষ টাকার মত। অপারেশনের জন্য এত টাকা জোগাড় করা মামাদের পক্ষে সম্ভব না। তাই এতিম শিশু আবিদকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানসহ সকলের সহযোগিতা চাচ্ছেন তারা।
আবিদের মা আছমা বেগম বলেন, আমার স্বামী গ্রামীন ফোনে চাকুরী করতো। তখন মোটামুটি ভাবে আমাদের সংসার চলতো। আমাদের সহায় সম্পদ বলতে কিছুই নেই। আমার স্বামীর সহায় সম্ভল বলতে তার ২ শতাংশ জমির উপর ভোলায় একটি বাসা রয়েছে। এছাড়া আর কোনো সম্পদ বা টাকা পয়সা নেই। রোড এক্সিডেন্টে স্বামী মারা যাওয়ার আমি আমার ভাইদের সহায়তায় চলছি। আবিদের জন্মের পর থেকেই কিডনি জনিত সমস্যায় ভুগছে। পারিবারিক অর্থনৈতিক অসচ্ছলতার কারনে সীমিত আকারে আমার স্বামী ওকে ভোলার স্থানীয় ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা করিয়েছেন। এরপর আমার স্বামী মারা গেল। বর্তমানে আমি অসহায় হয়ে আমার এতিম ছেলে আবিদের কিডনির রোগ থেকে বাচাঁর জন্য এবং অপারেশন করার জন্য যে যেটুকু পারেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন। সমাজের বিত্তবানসহ সকলে সহাযোগিতা করলে হয়ত বেঁচে যাবে আমার আদরের সন্তান আবিদ। তার পরিবারের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে এবং চিকিৎসায় সহযোগিতা করতে সকলকে ০১৭১৪৯০০৮১৭ (নগদ) ০১৭৯৩১৩৩৩০৭ ( বিকাশ) এই মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার বিনীত অনুরোধ করছি।