ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে জমি সংক্রান্ত জেড় ধরে বড় ভাই ফজলুর রহমান বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মারপিট ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকির অভিযোগ করেছেন ছোট ভাই রেজুয়ানুল হক বিশ্বাস। এ ঘটনায় দুই পক্ষ থেকে হরিপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে একে অপরের বিরুদ্ধে। পুলিশ বলছে করা হচ্ছে তদন্ত।
মামলার বিবরণে যানা যায়,শুক্রবার(২ ডিসেম্বর) ভোর রাতে পরিবার নিয়ে বাসায় ছিলেন রেজুয়ানুল হক বিশ্বাস। হঠাৎ ভোর রাতে তার বড় ভাই ফজলুর রহমানের ঘরে ১৫ থেকে ২০টি মোটরসাইকেল নিয়ে কিছু মানুষ আসে। এসময় তারা ঘর থেকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি দেয় রেজুয়ানুল হককে। এক পর্যায়ে ঘরের পিছন দিক দিয়ে পালিয়ে যায় রেজুয়ানুল হক। পরবর্তীতে সকালে রেজুয়ানুল হকের ভাই ও ভাতিজিরি নির্দেশে তার আবাদি জমিতে দখল করতে যায় সেই দুর্বৃত্তরা।
এসময় দুর্বৃত্তরা রেজুয়ানুল হকের জমিতে লাগানো ভূট্টার উপর হাল চাষ দেয়। খবর পেয়ে রেজুয়ানুল হক ও তার পরিবারের স্বজনের বাধা দিতে গেলে দুর্বৃত্তরা তাদের পরিবারের উপর চাড়াও হয়। এক পর্যায়ে ধাড়ালো অস্ত্র দিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এসময় তাদের চিৎকার স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে রেজুয়ানুল হক ৯৯৯ ফোন করলে পুলিশ এসে তার বড় ভাই ফজলুর রহমানের বাড়ান্দা থেকে ৭টি মোটরসাইল, রামদা,চাইনিজ কুড়াল ও লাঠিসোটা উদ্ধার করে।
অভিযোগকারী রেজুয়ানুল হক বলেন,দীর্ঘদিন ধরে আমার বড় ভাই আমার জমি দখলে নেয়ার চেষ্টা করে আসছে। আমার ভাতিজি আমাকে বলে সে আমাকে দেখে নিবে। ইতিমধ্যে তিনটি মামলা চলমান রয়েছে জমি নিয়ে। আমার জমি দখল করে নিবে এই মর্মে তারা একাধিকবার হুমকি দিয়ে আসছে।
তিনি আরো বলেন,গত ২ ডিসেম্বর আমার ভাই ও ভাতিজি বাহির থেকে সন্ত্রাসী ভাড়া করে নিয়ে আসে। আমাকে হত্যা করার জন্য। আমি প্রথমে পালিয়ে গেলেও পরবর্তী খবর আসে তারা আমার আবাদি জমির ফসল নষ্ট করে সেটি দখল করতে যায়। পরে আমি সহ আমার পরিবারের লোকেরা এগিয়ে গেলে তারা আমাদের উপর হামলা করে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তারা চলে যাবার সময় তাদের অস্ত্র দিয়ে মহরা করতে যায়, এসময় তাদের একজন সেখানে আহত হয়। এখন উল্টো আমার ভাতিজি ফরিদা আমাদের আসামী করে একটি মিথ্যা মামলা করেছে। আমি এ ঘটনায় হরিপুর থানায় একটি মামলা করেছি। প্রশাসন আমাকে সঠিক বিচার দিবে এই প্রত্যাশা করি।
এদিকে অভিযুক্ত ফজলুর রহমানের মেয়ে ফরিদা বেগম বলেন,আমার চাচা দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের জমি দখল করে আছে। আমার বাবা অসুস্থ এই সুযোগ তিনি কাজে লাগিয়েছে। মারপিটের বিষয়ে তিনি বলেন,আমাদের বাসায় আত্নীয় স্বজন আসতেই পাড়ে,সেটাকে তারা ভাড়াটিয়া গুন্ডা বলছে। তারা তো উল্টো আমার একজন ভাইকে মারপিট করেছে, সে গুরুতর অসুস্থ।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এমদাদুল হক জানান,সম্পত্তির লোভে বড়ভাই তার মেয়েদের কে দিয়ে ছককসে মামলা করছেন ছোটভাইয়ের নামে। বিষয়টি নিয়ে আমি কথা বলতে গেলেও তারা আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে।
হরিপুর থানার সাবেক ওসি এ বি.এম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন,বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মামলা হয়েছে। সেদিন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে।