লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে তোরাবগঞ্জ-চরলন্সে ইউনিয়নের সীমান্ত তুলাতুলিখাল ভরাট করে ইটভাটা করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আবদুল গণিমাঝির বিরুদ্ধে । দিনের পর দিন তার নিজস্ব ভাটার খোয়া বা (আধলা) দিয়ে খাল ভরাট কাজ সম্পন্ন করেছেন। নোয়াখালীর ভুলুয়া ও লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীরহাটের একমাত্র পানি চলাচলের সংযোগ কমলনগরের তুলাতুলি খালটি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড চরপাগলা গ্রামের তুলাতুলি খালটি নোয়াখালী ও ভুলুয়ানদীর পানি এসে পশ্চিমে মুসার খাল দিয়ে মেঘনা নদীতে প্রবাহিত হয়। প্রায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার নদীর সাথে খালটির সংযোগ বন্ধ রয়েছে। তবে দুঃখের বিষয় তৎকাললীন সময়ের স্থানীয় ভূূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ম্যানেজ করে খালটি ভরাট করে ব্যক্তি স্বার্থে কাজ করেছেন ইটভাটার পরিচালক আবদুল গণি। ভরাট হওয়া খালটি চওড়া ছিলো প্রায় প্রায় ৪০ ফুট। অবৈধভাবে সরকারি খাল দখল করে রেখেছে প্রায় ৫০০ মিটার। আ.লীগ সরকার জনগণের কৃষিমান উন্নয়নের স্বার্থে যেখানে খাল খনন করা হয়; সেখানে বিভিন্ন প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে খরস্রোত খালটি ভরাট করা হয়েছে। এতে উপজেলার চরকাদিরা, তোরাবগঞ্জ, চরলরেন্স, হাজিরহাট, মার্টিন এলাকার হাজার হাজার একর ফসলি জমির প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া লরেন্স, চরজাঙ্গালিয়া, চরপাগলা ও মার্টিন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ইতিপূর্বে তুলাতুলি খালটি ভরাট করে পর্বতের মতো উ”ু করে ফেলেছে। অবৈধভাবে ভরাটকরা ওই সরকারি খালের উপর ব্রিকফিল্ডের কার্যক্রম চলতে দেখা গেছে। স্থানীয়দের দাবি সরকারি খালটি দখল থেকে পুনঃউদ্ধার করা হলে চরলরেন্স ও মার্টিন এলাকার হাজার হাজার একর ইরি চাষে সুফল দেখা দেবে। খালটি অবৈধ ভরাটের কারণে ‘সমালয়’ সহ বিভিন্ন কৃষি চাষে আগ্রহ হারিয়ে যাবে কৃষকদের। ফজর আলী, নোমান, তারেক ও বেলায়েতসহ অসংখ্য ভুক্তভোগীরা জানান, আমরা এখানকার অনিয়মের কোন বিষয়ে কথা বললে আমাদের নানা ধরণের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে। তবে সরকারী খাল খরাট করা হয়েছে এটি সত্য।
অভিযোগ অস্বীকার করে আবদুল হাসিম ব্রিকফিল্ডের পরিচালক আবদুল গণি মাঝি বলেন, আমার ব্রিকফিল্ডের সাথে যে খালটি ভরাট করেছি এটি সরকারী খাল ছিলো না। প্রকৃতপক্ষে সরকারি খাল অনেক দূরে। আমি সরকারি খাল ভরাট করার কোন প্রয়োজন নাই বলে মন্তব্য করেন ।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুচিত্র রঞ্জন দাস জানান, সরকারি তুলাতুলি খাল ভরাট করার বিষয়ে তদন্ত চলছে। সরকারি খাস জায়গা উদ্ধারে ‘লাল’ পতাকা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী কার্যক্রমও অব্যাহত রয়েছে।