মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার গম, মসুরি, ভুট্টা, তামাক ও আমন চাষীদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করা হচ্ছে এবং চাষিদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আগাম ফসলে দাম ভালো পাওয়ার দরুন অনেক চাষি ধান কিংবা অন্যান্য ফসল কাটার পরপরই জমি চাষ করে ইতিমধ্যেই গম, মসুরি, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসল বুনে সেচ কাজ সম্পন্ন করেছেন। কেউ কেউ আগাম তামাকও লাগিয়ে সেচের কাজও সম্পন্ন করেছেন। এমন অনেকে রয়েছেন যারা এখনও আমন ধান কাটার পরও বাড়িতে আনতে পারেননি। এমতবস্থায় বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে শুরু হয়েছে বৃষ্টি।
গত শনিবার রাত ও রবিবার এবং সোমবারের হালকা থেকে মাঝারী, কখনও ভারী বর্ষণে ডুবে গেছে গম, মসুরি, ভুট্টা ও তামাকের ক্ষেত।
পানিতে ভেসে রয়েছে কাটা আমন ধান। সেচের পরপরই ভারী বর্ষণে অনেকেরই গম, মসুরি ও ভুট্টা পঁচে গেছে বলে জানিয়েছেন।
জেলার গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের মাইলমারীসহ একাধিক গ্রামের চাষিদের এমনটাই অভিযোগ। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর গাংনী উপজেলার অধিকাংশ চাষিরা আগাম ফসল বুনে ফেলেছেন। কিন্তু বৃষ্টির কারণে তাদের বোনা ফসলে পঁচা লেগেছে। অতিকষ্টে অর্থ যোগান দিয়ে চাষকাজ, বীজ, সার ক্রয়সহ সেচ কাজ সম্পন্ন করেছেন। এমতবস্থায় তাদের বোনা ফসল পঁচে গেছে, কেউ কেউ পঁচে যাবার আশংকাতেও রয়েছেন। নতুন করে আবারও চাষ, বীজ, সার ক্রয় করা চাষিদের পক্ষে খুবই কষ্টকর। কেউ কেউ পরের জমি লিজ নিয়েও চাষ কাজ করছেন।
সুতরাং আবারও সকল কিছু ক্রয় করে ফসল ফলানো তাদের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নতুনভাবে ফসল ফলানোর জন্য প্রয়োজনীয় বীজ, সারসহ সকল উপকরণ সরবরাহের জন্য গাংনী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগী চাষিরা।
এব্যাপারে গাংনী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তাসহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বিনামূল্যে বীজ, সারসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করে তাদের ফসল ফলানোর সুযোগ করে সাধারণ ভাবে বেঁচে থাকার ব্যবস্থা করবেন এমনটাই তারা আশাবাদী।