লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
হবিগঞ্জ শহরের প্রধান সড়ক মেরামত হলেও টমটম চালকরা নিজেদের ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করছে। অভিযোগ রয়েছে, রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে ৫ টাকার জায়গায় ১০-১৫ টাকা আদায় করা হচ্ছে। বিশেষ করে এসব চালকদের হাতে নারীরা বেশিরভাগই নাজেহাল হচ্ছেন। আবার কেউ কেউ তাদের সাথে বাকবিতন্ডায় না গিয়ে তাদের দাবিই পূরণ করছেন। তবে পুরুষ যাত্রীদের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম চিত্র দেখা গেছে। ভাড়া নিয়ে পুরুষদের সাথে বাকবিতন্ডা হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, চক্ষুলজ্জার কারণে পুরুষদেরকেও ১০-১৫ টাকা করে ভাড়া দিতে হচ্ছে। জানা যায়, থানার মোড় থেকে চৌধুরী বাজার পর্যন্ত ৫ টাকা ভাড়া ছিল। তবে করোনা চলাকালীন সময়ে চৌধুরী বাজার থেকে শায়েস্তানগর বাজার পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৪ জন যাত্রীর বিনিময়ে ১০ টাকা ভাড়া করা হয়। কিন্তু করোনার বিধি নিষেধ শিথিল হলে পৌরসভার পক্ষ থেকে ৫ টাকা ভাড়া বহাল রেখে মাইকিং করা হয়। সম্প্রতি শহরের প্রধান সড়ক মেরামত কাজ শুরু হয়। রাস্তা ভাঙ্গার অজুহাতে চালকরা শায়েস্তানগর থেকে চৌধুরী বাজার পর্যন্ত ১৫ টাকা ও মোদক ফার্মেসী পর্যন্ত ১০ টাকা, সদর থানার মোড় থেকে মোদক পর্যন্ত ১০ টাকা করে আদায় করছে। যা পূর্বে ছিল ৫ টাকা। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে শায়েস্তানগর পুরাতন বাসস্ট্যান্ড (সিএনজি স্ট্যান্ড) থেকে উঠে গোপাল মিষ্টি ঘরের সামনে নামলে চালক ১০ টাকা করে ভাড়া দাবি করে। পরে বাকবিতন্ডা শুরু হলে ২০ টাকা দিয়ে বিষয়টি উপস্থিত মিমাংসা করা হয়। বলতে গেলে টমটম চালকদের কাছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সকল শ্রেণি পেশার মানুষই রীতিমতো জিম্মি হয়ে পড়েছেন তাই অনতিবিলম্বে টমটম চালকদের ভাড়ার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া না হয় তবে বড় অপ্রীতিকর ঘটনার আশংকা রয়েছে।