লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বৈকুণ্ঠপুর চা বাগানে শ্রমিক ও ব্যবস্থাপকদের মধ্যে দ্বন্ধের জেরে ১০ দিন ধরে চা বাগান বন্ধ রয়েছে প্রশাসন জনপ্রতিনিধি ও শ্রমিক এবং ব্যবস্থাপকদের মধ্যে একাধিকবার বৈঠক করার পরও বাগান খোলার বিষয়ে কোন সমঝোতা হয়নি। হঠাৎ করে চা বাগান বন্ধ হয়ে পড়ায় রুগ্ন এ চা বাগানটি আরো লোকসানের মধ্যে পড়েছে। শ্রমিকদের ১০ দিন ধরে বেতন ও রেশন বন্ধ থাকায় ৫ শতাধিক শ্রমিক পরিবারে অভাব অনটন দেখা দিয়েছে। বৈকুণ্ঠপুর চা বাগানের শ্রমিক নেতা ও ইউপি সদস্য বাবুল চৌহান জানান, ৭ দিন আগে এক শ্রমিকের ঘর তোলাকে কেন্দ্র করে সমঝোতা বৈঠক চলাকালে শ্রমিক ও ব্যবস্থাপকের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বাগান কর্তৃপক্ষ কোন পূর্ব নোটিশ ছাড়া বাগান বন্ধ করে দেয়। হঠাৎ করে চা বাগান বন্ধ করে দেওয়ায় চা বাগানের ক্ষতির পাশাপাশি রেশন না দেওয়ায় সাধারণ শ্রমিকরা অভাব অনটনের মধ্যে পড়েছে। চা বাগানের ব্যবস্থাপক শামসুল ইসলাম জানান, গত এক সপ্তাহ আগে শ্রমিক ও ব্যবস্থাপকের মধ্যে বৈঠক চলাকালীন সময়ে কিছু উত্তেজিত শ্রমিক ব্যবস্থাপকের লাঞ্চিত করে। তাই বাধ্য হয়েই মালিকপক্ষ বাগান বন্ধ রেখেছে। তবে বাগান খোলার বিষয়ে মালিকপক্ষ আন্তরিক রয়েছে। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরী জানান, মালিকপক্ষ কোন কারণ ছাড়া হঠাৎ যেভাবে বাগান বন্ধ রেখেছে তা শ্রম নীতিমালা আইন পরিপন্থি। কোন বিরোধ দেখা দিলে শ্রমিক ও ব্যবস্থাপকদের মধ্যে আলোচনা করে মিমাংশা করার নিয়ম রয়েছে। বাগান বন্ধ রাখায় সাধারণ শ্রমিকরা এখন অভাব অনটনের মধ্যে পড়েছে। মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক জানান, চা বাগানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে অবনতি না হয় পুলিশ সার্বক্ষণিক সর্তক রয়েছে। মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মঈনুল ইসলাম মঈন জানান, আমরা উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছি। সহসাই অচলাবস্থায় সমাধান হবে বলে আশা করছি।