লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি
হবিগঞ্জ শহরে মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তী উপলক্ষে ওয়ালটন টি,আর ইলেকট্রো মার্টের সৌজন্যে প্রায় ১২ হাজার বর্গফুট আয়াতনের বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শৈল্পিক জাতীয় পতাকা প্রদর্শন করা হয়েছে। হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পাঁচপাড়িয়া, শিয়ালদাড়িয়া, পৈল বড় পুতার মাঠে ২৮ জন কর্মী একটানা ৭/৮ দিন কাজ করে এ পতাকাটি তৈরী করেছেন হবিগঞ্জ চারুকলা একাডেমীর কর্নধার চিত্রশিল্পী আশীষ আচার্য্য। এই পতাকা তৈরীর চিন্তাটি সর্বপ্রথম পরিকল্পনা করেন টি,আর ইলেকট্রো মার্টের সত্ত্বাধিকারী মোঃ মোদারিছ আলী টেনু এর বড় ছেলে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাওছার আহমেদ সানি। এ ব্যাপারে উনি বলে ন ইউনিক কিছু করার একটা চিন্তা আমি সবসময়ই খুজে ফিরি। আর সেই চিন্তা থেকেই জাতীয় বীর সন্তানদের উদ্দেশ্যে মহান বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে আমার এই নিবেদন জানা যায়, ধান গাছের খড় ও রং দিয়ে তৈরী করা বিশাল পতাকাটি বৃহস্পতিবার সারাদিন প্রদর্শিত হয় হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পাঁচপাড়িয়া, শিয়ালদাড়িয়া পৈল বড়পুতার মাঠে। সারাদিন এই পতাকাটি দেখতে আশেপাশের গ্রামসহ হবিগঞ্জ সদরের হাজার হাজার মানুষ ভীড় জমায়। বিশাল শিল্পকর্মটি তৈরী করতে চিত্রশিল্পী আশীষ আচার্য্যরে সহযোগী হিসেবে কাজ করেন অমিত, দীপ্ত প্রবল, অংশু, সাইফুল, বিন্দু ও হবিগঞ্জ চারুকলা একাডেমীর আরোও অনেক শিক্ষার্থী। সার্বিক পরামর্শ দিয়ে পতাকা তৈরিতে সহযোগীতা করেন ঢাকা আর্ট কলেজের শিক্ষক কপিল রায়। এই পতাকা তৈরীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন, দি ইভেন্টরস-হবিগঞ্জের সত্ত্বাধিকারী রাকিব আহমেদ সহ আরোও অনেকে।
এ ব্যাপারে চিত্রশিল্পী আশীষ আচার্য্য বলেন, বিজয়ের ৫০ বছর উদযাপনে এই বিশাল পতাকা তৈরী করতে পেরে আমি গর্ববোধ করছি। পতাকাটি ধান গাছের খড়, রং ও প্রাকৃতিক অন্যান্য অনেক উপাদান ব্যবহার করে তৈরী করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধব। ইন্সটলেশনে এটিই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শৈল্পিক পতাকা।
এ ব্যাপারে ওয়ালটন টি,আর ইলেকট্রো মার্টের কর্নধার রোটারীয়ান মোঃ মোদারিছ আলী টেনু বলেন, জাতি হিসেবে আমাদের পরিচয়ের প্রধান অনুষঙ্গ হচ্ছে জাতীয় পতাকা। তাই বিজয়ের ৫০ বছর উদযাপনে পতাকা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করি। মহান বিজয় দিবসে বিশাল পতাকাটি প্রদর্শন করতে পেরে আমি সত্যিই অনেক আনন্দিত ও গর্বিত।