ফল চাষি পারভেজের বিরুদ্ধে প্রাণনাশের হুমকি ও মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবির অভিযোগ


ফল চাষি পারভেজের বিরুদ্ধে জমির ভাড়া না দিয়ে নিজের গাছ নিজে কেটে প্রাণনাশের হুমকি ও মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবির অভিযোগ করেন জমির মালিক কৃষক খোকন। অভিযোগে জানা যায় ফল চাষী পারভেজ তিন বছরের জন্য ৪ একর জমি ভাড়া নেয় কিন্তু প্রথম বছরের ভাড়া দিলেও জামানতের এক লক্ষ টাকা এবং এক বছরের ভাড়া বাকি রাখেন ভারা ও জামানতের টাকা চাইতে গেলে ফল চাষি পারভেজ জমির মালিকের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন এবং বাগানে যাওয়া বন্ধ করে দেন বাগানের যত্ন না নেওয়ায় অধিকাংশ গাছ শুকিয়ে যায়, শুধু তাই নয় ফল চাষি পারভেজ গোপনে অন্যের কাছে জমি ভাড়া দেওয়ার কথা বলে ৪০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন যাহা চুক্তির পরিপন্থী বিষয়টি জমির মালিক খোকন জানতে পারলে হতাশ এবং দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় বিভিন্নভাবে জমির মালিক পারভেজের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন এর পর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন পরে মেসেঞ্জার এর মাধ্যমে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেন কিন্তু মেসেঞ্জারের মাধ্যমে কোনরকম যোগাযোগ করেন না এবং মেসেঞ্জার এর রিপ্লাই দেন না পারভেজকে জমির মালিক মেসেজের মধ্যেও জানতে চান আপনি জমি ছেড়ে দিবেন কিনা কিন্তু পারভেজ মেসেজের উত্তর দেন না, জমির মালিক আরো অভিযোগ করেন পারভেজ গোপনে আমার জমি অন্য অন্য মানুষকে ভাড়া দেওয়ার কথা বলে ৪০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন বিষয়টি জানা জানি হলে পারভেজ জমির মালিকের দেখা করেন জানান আমি আমার গাছ কেটে নিয়েছি আপনি গাছের মুড়োগুলো তুলে নিয়েন মালিক জানান গাছের মোড়া তুলতে তো অনেক খরচ হবে পারভেজ খোকনকে জানান আমার কাছে টাকা নাই আমাকে ক্ষমা করে দিবেন উক্ত উক্ত বিষয়ে আমাদের প্রতিনিধি সত্যি তা জানতে চাইলে খোকন উক্ত কথোপকথন একটি ভিডিও ফুটেজ আমাদের প্রতিনিধির হাতে তুলে দেন পাশাপাশি জমির মালিক খোকন পারভেজ এর সঙ্গে মেসেজের মাধ্যমে যোগাযোগের ছবি দেখান দেখান এ সময় খোকন কান্নায় ভেঙে পড়েন কাঁদতে কাঁদতে তিনি জানান এখান থেকে যাওয়ার পর থেকে পারভেজ আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি সহ মোটা অংকের টাকা দাবি করেন আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমাকে হত্যার হুমকি প্রদান করেন এ বিষয়ে মালিক থানা একটি অভিযোগ করেন এবং বলেন পারভেজ অনেক বেশি ক্ষমতাধর হওয়ায় আমার অভিযোগের ভিত্তিতে আজ পর্যন্ত ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নাই খোকন জানান পারভেজের ভয়ে আমি শহরে আসতে পারি না বাসায় ঠিকমত ঘুমাতে পারিনা স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে আমি খুব বিপদে আছি যেকোনো মুহূর্তে পারভেজ আমার ও আমার পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে তাই তিনি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন উক্ত বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন এবং পারভেজ এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১২ টায় ঠাকুরগাঁও কোর্ট চত্বরে এসে আলোর কন্ঠের প্রতিনিধির কাছে এসব কথা বলেন এ সময় এলাকাবাসী অনেকেই তার সাথে ছিলেন
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই বলেন খোকন ভাই অনেক ভালো মানুষ অনেক ভদ্র পারভেজ যে অভিযোগ করেছেন তা সঠিক না , কাগজপত্র অনুযায়ী ২০২৩ সাল থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত চুক্তি থাকলেও এক বছর ধরে পারভেজ জমির মালিককে কোন টাকা প্রদান করেন নাই এবং যোগাযোগ করেন নাই বিষয়টি এলাকায় অনেকেই জানেন
তারা আরও জানান খোকনের পরিবারের শেষ সম্বল এই জমিটুকু এই জমির ভাড়া দিয়েই খোকন ও তার পরিবার চলে এবং তার মা খুব অসুস্থ এই টাকা দিয়ে তার ওষুধ পত্র কিনেন কিন্তু এ ঘটনার কারণে খোকন ভাইয়ের পরিবার চরম আর্থিক সংকটে রয়েছেন এবং তার মায়ের চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক এবং পারভেজের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানানো হয়।
অন্যদিকে, অশ্রুভেজা চোখে ভূক্তভোগী আখতারুজ্জামান খোকন বলেন, “সদর উপজেলার চিলারং এলাকার বুড়ি ব্যারেজ সংলগ্ন চার একর জমি লীজ দিয়ে আমার পরিবারের চিকিৎসা করতে হয় এ ঘটনার কারণে আমার জমি পড়ে আছে জমি পড়ে থাকার কারণে আমার পরিবার চরম আর্থিক সংকটে আছে অন্যদিকে নানা অযুহাত দেখিয়ে মইনুল ইসলাম পারভেজ আমাকে টাকা না দিয়ে নিজের গাছ নিজে কেটে নিয়ে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে এবং মোটা অংকের টাকা দাবি করছে আমি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে হত্যার হুমকি সহ বিভিন্ন ধরনের হয়রানি করছে। তার এই কর্মকাণ্ডে আমি হতাশ এবং আইনগত শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।অন্যদিকে পারভেজ জানান খোকনের অভিযোগ সম্পন্ন মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তি ভিত্তিহীন এই ঘটনার এখন পর্যন্ত থানায় কোন মামলা হয়নি তবে অভিযোগ গ্রহণ করেছেন উভয়ে