আলফাডাঙ্গা সরকারি হালট দখল করে পাকা বাড়ি নির্মাণের এলাকাবাসী মানববন্ধন


আরিফুজ্জামান চাকলাদার আলফাডাঙ্গায় সরকারি হালটে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা সরকারি হালট (রাস্তা) জায়গা দখল করে পাকা ঘর ও বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণের প্রতিবাদে এক মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী । গত বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেল ৫ টার দিকে নতুন বাড়ি জামে মসজিদের সামনে হালট উদ্ধার চেয়ে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে মানববন্ধন করেন। জানা যায়,যে জায়গায় পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে, তার মধ্যে হালট (রাস্তা) জায়গা আছে দাবি করে গত ১৫ এপ্রিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার ভূমি বরাবর নিজেদের স্বাক্ষরিত একটি আবেদন জমা দিয়েছেন ২০ জন গ্রামবাসী। অন্যদিকে পাকা স্থাপনা নির্মাণকারী বিলকিসের দাবী ওই জমির রেকর্ড নিজেদের নামে রয়েছে। উপজেলা বানা ইউনিয়নে আড়পাড়া গ্রামে মৃত সিদ্দিক শেখ ছেলে মো. ইসরাফিল শেখ গং এর বিরুদ্ধে ওই বাড়িসহ বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণের অভিযোগ করেছেন গ্রামের সর্বসাধারণ । সরজমিনে জানা যায়, ১৮ নং টোনা মৌজার ( সিট নং ২) এর এসএ দাগ ৩৮৭৪, বিএস ১৭১৪,খতিয়ান ৮৬১,জমি ১৪ শতাংশ যাহা ইসরাফিল শেখ এর পৈত্রিক সম্পত্তি। এছাড়া সিট ২ এসএ ৩৮৪৭ বি এস ১৭১৫ হাল খতিয়ান ৮৫ নামজারি খতিয়ান ২০৪১ মালিকানা ইসলাম মিয়া ও বিলকিস বেগম এর দলিলে ১৭ শতাংশ,ম্যাপে ১৬ শতাংশ নিজ নিজ অংশে পাকা ভবন নির্মাণ করেছেন। সরকারি রেকর্ডভুক্ত হালটের (রাস্তা) জমি জুড়ে প্রাচীর নির্মাণ করছেন।যা সম্পূর্ণরুপে অবৈধ, আইনত দণ্ডনীয় এবং জনস্বার্থে পরিপন্থী। মানববন্ধনে আশরাফুজ্জামান মিয়া জিল্লু বলেন,১৪০২ নং দাগে সরকারি হালট কোথাও ১৭ ,২৩, ৩০ এবং মোড়ে ৪৯ ফুট আছে। বিলকিসে বাড়ির সামনে মোড়ে ৪৯ ফুট এর জায়গায় এলজিইডি পাকা রাস্তাসহ ১৬ ফুট ,যা উভয় পাশে বেদখল হয়েছে।দলিলে ১৭ শতাংশ,ম্যাপে ১৬ শতাংশ থাকার পরেও হাটলসহ ভোগদখলে অনেক বেশি আছে এবং বাউন্ডারি ওয়াল করছে।আরো বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল ইকবাল ও সহকারী কমিশনার ভূমি এমকেএম রায়হানুর রহমান কর্মকর্তা তদন্তে এলে ভুল বুঝিয়ে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে । এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, ঐ খানে দুই পাশের কৃষি জমির পানি চলাচলের জন্য একটা কালভাট ছিল।যা ওয়াল নির্মাণের সময় পরিকল্পিত ভাবে বন্ধ করে দিয়েছে।বৃষ্টি ও বন্যা হলে ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এদিকে বিলকিস এর বাড়িতে বক্তব্য নিতে গেলে তার ছেলে মুহিত শেখ মাকে কোন বক্তব্য দিতে দেয় না এবং তিনি কোন ধরনের বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।