তাহিরপুর সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
সুনামগন্জের তাহিরপুরে দিনরাত পরিশ্রম করে প্রতিটি হাওরের বাধঁ বাধেঁ কৃষকদের সাথে নিয়ে কাজ করছেন তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান বাবু করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল। পাহাড়ি ঢলে ও বৃষ্টিতে অস্বাভাবিক ভাবে নদীতে পানি বৃদ্ধি হওয়ায় হুমখির মুখে পড়েছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের একাধিক হাওরের বোরো ফসল রক্ষা বাঁধ। গত দুদিন বৃষ্টি পাত না হওয়ায় নদীর পানি কমতে শুরু করলেও দুশ্চিন্তা কমছেনা হাওর পাড়ের কৃষকদের । ইতি মধ্যে গত কয়েক দিনে ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙে নজরখালি সহ তলিয়ে গেছে কয়েকটি হাওর।
নদীতে পানি বৃদ্ধি না হলেও বিভিন্ন হাওরের কিছু বাঁধ ধ্বসে হুমকিতে রয়েছে, আবার কিছু বাধের নিচ দিযে চুয়ে চুয়ে হাওরের ভিতরে পানি প্রবেশ করছে।শনির হাওরের নান্টুখালি, লালুর গোয়ালা, আম্মকখালি,বীর নগর বাধ, মাঠিয়ান হাওরের আনন্দ নগর পঙ্খির খাল,রতন শ্রী পশ্চিমের বাধ,আলমখালি,বড়দল মেশিনবাড়ি,মাটিয়ানের কুড়ি,মহালিয়া, হাওর,বাঘমারা,দরোন,আইন্না খলমা,পাটাবুকা সামনের কুড়ি,আরও অনেক ছোট বড় বাধ,যখনি কোন হাওরের বাধের খারাপ খবর আশে তখনি দ্রুত গতিতে ছুটে যান তাহিরপুর উপজেলার জননন্দিত উপজেলা চেয়ারম্যান বাবু করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল তিনি বাঁধে গিযে হাওর পাড়ের কৃষকদের উৎসাহিত করেন বাঁধ রক্ষার জন্য, উনার উপস্তিতি দেখে কৃষকদের মনে উৎসাহ জাগে তারা দল বেদে বাঁধে কাজ করতে আসে।
মাটিয়ান হাওর পাড়ের কৃষক জালাল উদ্দীন বলেন নদীতে কিছুটা পানি কমলেও বিভিন্ন বাঁধ ধ্বসে যাচ্ছে কারন পি আইসির কাজের মান ভালো ছিলনা, তারা বাঁধে দরমুজ করেনাই, মাটি ভালোভাবে না বসার কারনে বাঁধ গুলো ধ্বসে যাচ্ছে আমরা গ্রামবাশী শেচ্চাশ্রমে বাঁধে কাজ করছি আমাদের ফসল রক্ষার জন্য, আমরা প্রশাসনের সবাইকে বলব যারা কাজে অবহেলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য।
মহালিয়া হাওরের মানিকখিলা গ্রামের কৃষক নাজিমুদ্দিন বলেন অনেক পরিশ্রম করে দার দেনা করে টাকা আইন্না জমি করছি, যদি হাওরের বাঁধ ভাইঙ্গা যায় তাহলে আগামী এক বছর কিভাবে চলমু, পুলা ফুরি কিভাবে ফালমু, আরেকবার এই রকম হাওর ভুইরা গেছিল তখন পুলা পুরি নিয়া ঢাকা গেছিলামগা, বান্দের কাজ ভাল করছেনা, যারা কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্তা নেওক।তিনি আরও বলেন বাঁধগুলো টিকিয়ে রাখতে আশঙ্কা জনক খবর পেলেই স্তানীয কৃষকদের সাথে নিয়ে ছুটে আসছেন উপজেলা চেয়ারম্যান বাবু করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল। এবং প্রযোজনীয় ব্যাবস্তা নিচ্ছেন,মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে কৃষকদের জানানোর কথা বলছেন।
তাহিরপুর উপজেলার সৃজনশীল উপজেলা চেয়ারম্যান বাবু করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন, পাহাড়ি ঢলের কারনে আামাদের নদী গুলোতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পানি হওয়ায়, এবং নদীতে পানির স্রুতের পরিমান বেশি থাকায়, আমাদের দু একটি হাওরের বাঁধ ভেঙে কৃষকদের সোনার ফসল তলিয়ে যায়,দুদিন যাবৎ কোন বৃষ্টি পাত না হওয়ায় নদীর পানি কিছুটা কমেছে, কিন্তুু প্রতিনিয়ত কোন না কোন বাধ ধ্বসে যাবার খবর পাওযা যাচ্ছে,যেখানেই বাধ ধ্বসে যাওয়ার খবর আসছে আমরা সেখানেই কৃষক ভাইদের নিয়ে বাধ রক্ষায় জন্য আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছি।
আমাদের পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম সুনামগঞ্জের বিভিন্ন বাধ পরিদর্শন করেছেন, তিনি বলেছেন বাঁধে কোন রকম অনিয়ম সহ্য করা হবেনা, যারা বাধের কাজে অনিয়ম করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রযোজনীয় সহযোগিতার কথা বলেন।