মোঃ কামাল হোসেন খাঁন মেহরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
মেহেরপুরের গাংনীতে গুলি বর্ষণের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেছে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। ঘটনায় গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন কে আটক করেছে পুলিশ।সোমবার (১৮ এপ্রিল), রাতে গাংনী থানা পুলিশ মোশাররফ হোসেন কে আটক করে।
জানা যায়, সন্ধার দিকে গাংনী উপজেলা শহরের জেলা পরিষদ সংলগ্ন যুবলীগ কার্যালয়ে সাবেক ছাত্রনেতা শাহিদুজ্জামান শিপুসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সহিত বাকবিতন্ডা হয় গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেনের। ঘটনা কে কেন্দ্র করে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন ছাত্রনেতা শিপুসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ কে উদ্দেশ্য করে ৪ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। কিন্তু তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এতে করে এলাকায় চরম উত্তেজনা শুরু হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা যুবলীগ অফিসে হামলা চালায়। এবং মোশাররফ হোসেন কে গ্রেফতারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে। ঘটনায় মেহেরপুর-কুষ্টিয়া ও গাংনী-হাটবোয়ালিয়া সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ এর অংগসমূহের নেতৃবৃন্দের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গাংনী থানা পুলিশ যুবলীগ সভাপতি মোশাররফ হোসেন কে গ্রেফতার করে থানা হেফাজতে নিয়ে যান। এসময় উত্তেজিত জনতা পুলিশ ভ্যান কে লক্ষ্য করে ছুটতে থাকে। পুলিশি বাঁধায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ জানান, যুবলীগ সভাপতি ও আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রনেতাদের সাথে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এসময় যুবলীগ সভাপতি মোশাররফ হোসেন নেতৃবৃন্দদের লক্ষ্য করে ৪ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। এতে জনতা উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং তাকে গ্রেফতারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, কেন গুলি বর্ষণ করেছে এবং তার অস্ত্রের বৈধ লাইসেন্স আছে কিনা তা যাচাইয়ে মোশাররফ হোসেন কে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে উত্তেজিত নেতৃবৃন্দের আন্দোলনস্থলে উপস্থিত হন মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন, সাধারণ সম্পাদক মখলেছুর রহমান মুকুল ও গাংনী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবু, জেলা ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক মুনতাসির জামান মৃদুলসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এসময় বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন, গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মখলেছুর রহমান মুকুল, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবু ও ছাত্রনেতা শাহিদুজ্জামান শিপু।
নেতৃবৃন্দ বলেন, গাংনীতে বেশ কিছুদিন ধরে নানা রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন যুবলীগ সভাপতি মোশাররফ হোসেন ও তার লোকজন। তার অফিসে সবসময় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে লোকজন কে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়। এসময় নেতৃবৃন্দ মোশাররফ হোসেন কে আটক না করা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখবে বলে জানান। পরে মোশাররফ হোসেন কে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।