নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা এক চাঁদাবাজ ও প্রতারকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন পালন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী। প্রতারক, চাঁদাবাজ, ইভটিজার, উপজেলার নরদাশ ইউনিয়নের নরদাশ পূর্ব পাড়া গ্রামের আব্দুস সালামের পুত্র রেজাউল ইসলাম।
আজ ২২ এপ্রিল বিকাল ৩.৩০ সময় নরদাশ ঢাক মোড় বাজারে সাধারণ মানুষের ব্যানারে এই মানব বন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। এই মানববন্ধনে এলাকা বাসীর পক্ষ থেকে মো: মুকবুল হোসেন, বাবলুর রশিদ, মজিবর রহমান, সামিম রেজা সহ আরো অনেকেই বিভিন্ন সময়ে তাদের অভিযোগ তুলে ধরে বলেন,
এই প্রতারক কখনো নিজেকে পুলিশের সোর্স, কখনো পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে নিরীহ নিরপরাধ লোকজনকে মাদকসহ বিভিন্ন হয়রানিমূলক মামলা ও গ্রেফতারের হুমকি দিয়ে অর্থ আদায় করে থাকেন।
তিনি যে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘোরা ফেরা করেন তার সামনে পেছনে লাগানো পুলিশের স্টিকার দেখে যে কেউ মনে করবেন সে পুলিশের একজন কর্মকর্তা। আসলে তা নয়, তিনি একজন ঠক-বাটপার ও প্রতারক।
আবার পুলিশসহ সেনাবাহিনীতে চাকরির প্রলোভন দিয়ে প্রতারিত করছেন একাধিক ব্যক্তিকে এবং হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা।
অনেকে টাকা হারিয়ে তার পিছনে হন্যে হয়ে ঘুরছেন,ফলে বর্তমানে আত্মগোপন করে আছেন এই প্রতারক।
উপজেলা নিবার্হী অফিসারের কার্যালয়ে রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বিষয়ে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন গ্রামবাসী। গ্রামবাসীর পক্ষে শামীম হাসান একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
রেজাউল পুলিশ দিয়ে হয়রানি ও মিথ্যা মাদক মামলায় গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে গ্রামের নিরীহ নিরপরাধ মানুষকে জিম্মি করে অর্থ আদায় করে থাকে বলে জানা গিয়েছে।
তবে রেজাউলের এসব কাজে স্থানীয় হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেন গ্রামবাসী। তাদের অভিযোগ এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীর সাথে সখ্যতা রয়েছে রেজাউলের।
বর্তমানে আত্মগোপনে থাকা এই প্রতারক রেজাউল নিজেকে নরদাশ ডিগ্রি কলেজের ছাত্র পরিচয় দিলেও ওই কলেজের অধ্যক্ষ ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সারওয়ার আবুল বলেন, সে কখনোই আমার কলেজের ছাত্র ছিল না এখনও নেই সে এলাকায় একের পর এক অপকর্ম ঘটিয়ে চলেছে, আমি তাকে খুঁজছি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ওসি সাহেবকেও বলেছি, কিভাবে সে পুলিশের মোটরসাইকেল ব্যবহার করে এলাকায় চাঁদাবাজি করে বেড়ায়।
এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সহ গ্রামের কয়েকজন প্রবীণ গ্রাম প্রধান ব্যক্তিরা জানান, প্রায় বছরখানেক আগে রেজাউল নিজেকে সেনা কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন। সে সময়ে রেজাউল ভুয়া নিয়োগপত্র ও বিভিন্ন সিল ও আর্মির পোশাক সহ সেনাবাহিনীর হাতে আটক ও হয়েছিল।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হাটগাঙ্গোপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মিজানুর রহমান বলেন, আমি আসার আগে সে এই তদন্ত কেন্দ্রে আসা-যাওয়া করতো বলে শুনেছি। তবে এখন তাকে আর আগের মত আশ্রয় প্রশ্রয় দেওয়া হয় না।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক আহমেদ বলেন ইউএনওর কাছে দায়ের করা লিখিত অভিযোগের কপি পেলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এই বিষয়ে ইউএনও ফারুক সুফিয়ান জানান, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য থানায় পাঠানো হয়েছে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।