মোঃ সাজ উদ্দিন সাজু, সিলেট প্রতিনিধি:
সিলেটের জৈন্তাপুর কয়েক দিনের পাহাড়ী ঢলে বন্যায় উপজেলার ৬ইউপি’র প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে৷
নতুন করে প্লাবিত হয়েছে দরবস্ত, ফতেপুর ও চিকনাগুল ইউপি’র বিভিন্ন গ্রাম৷ সারী ও বড় নয়াগাং নদীর পানি স্বাভাবিক পর্যায়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে৷
১৭মে মঙ্গলবার সরেজমিনে দরবস্ত ফতেপুর চিকনাগুল ও জৈন্তাপুর ইউপি ঘুরে হাফিজ রফিক আহমদ, বুরহান উদ্দিন, করিম মিয়া, সুলেমান মিয়া সহ অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, কয়েকদিনের অব্যাহত বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে তারা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে৷ অতিতের সকল বন্যাকে ছাড়িয়ে গেছে৷
নিজপাট ইউপি’র বিভিন্ন গ্রামের পানি কমলেও উপজেলার নিম্নাঞ্চল জৈন্তাপুর ইউপি’র চাতলারপাড়, লক্ষীপুর, বিড়াখাই, হাটিরগ্রাম, ভিত্রিখেল, ববরবন্দ, গাতিগ্রাম, নিজপাট ইউপির ফুলবাড়ী, ডিবিরহাওর, লক্ষীপ্রসাদ হাওর, দিগারাইল, চারিকাটা থুবাং, রামপ্রসাদ, নয়াগাতি, মাদার মোকাম, দরবস্ত ইউপির গর্দ্দনা, কাঞ্জর, চাল্লাইন, সেনগ্রাম, মুটগুঞ্জা, নয়াবাজার, ফরফরা, তেলিজুরী, শুকইনপুর, লামা ডেমা, ছাতারখাই, মানিকপাড়া, মহাইল, লামা মহাইল ফতেপুর ইউপির হেমু, হাউদপাড়া, বালিপাড়া, জুহাইরটুক, মাঝেরটুক, লামা শ্যামপুর ও চিকনাগুল ইউপির কহাইগড় ১ম খন্ড ও ২য় খন্ড সহ ৬টি ইউনিয়নের শতকরা ৮০ ভাগ গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে৷
এদিকে বন্যার কবলিত গ্রামবাসীরা উঁচু স্থানে গৃহপালিত পশু গরু, মহিষ নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটে চলছে৷ অপরদিকে জৈন্তাপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে এসব অঞ্চলে অবস্থিত সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে৷ সেই সাথে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মাধ্যমে বন্যা কবলিতদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হচ্ছে৷ অপরদিকে বন্যায় পরিস্থিতি ও বন্যায় কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তি সহ জনপ্রতিনিধিরা৷
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল-বশিরুল ইসলাম ও উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল আহমদ ইউপি চেয়ারম্যানগণ জানান, আমরা বন্যায় প্লাবিত এলাকা সমূহের সকল প্রকার খোঁজখরব রাখছি৷ বন্যা কবলিতদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিচ্ছে। এছাড়া বন্যা কবলিতদের সর্তকবস্থায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে৷ বন্যা কবলিতদের উদ্ধারে জরুরি নৌযান প্রস্তুত রাখা হয়েছে৷