হাওরে বাঁধ নির্মানে লুটপাট, স্বর্বশান্ত কৃষকের ক্ষতিপুরনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
আলোচিত কণ্ঠ । নিউজ ডেস্কঃ 
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
আগামীর রাষ্টনায়ক বি এনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিগত ১৩, ৫, ২২ তারিখে কৃষকদলের একটি প্রতিনিধিদল প্রত্যান্ত হাওরঞ্চলের কৃষকদের শুনার ফসল তলিয়ে যাওয়া পরিদর্শন শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন, জেলার হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে সীমাহীন দুর্নীতি-লুটপাট বন্ধ ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
মঙ্গলবার (১৭মে) বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কৃষকদলের একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি সুনামগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত হাওরাঞ্চল সরেজমিনে পরিদর্শন ও কৃষকদের দুর্দশার চিত্র দেখে এসেছেন। তারা একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছেন।
যা থেকে জানা যায়, চলতি বছরে সুনামগঞ্জ জেলায় বাঁধ নির্মাণে সরকারি বরাদ্দ ছিল ১২২ কোটি এবং গত ৫ বছরে এই টাকার পরিমাণ ছিল ৬২১ কোটি টাকা। যা বাঁধ রক্ষায় তেমন কোনো কাজে আসেনি।
বরং এই বরাদ্দকৃত টাকা ব্যাপক অনিয়ম ও লুটপাট হয়েছে।
যে সমস্ত বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে তাথে দরমুজ করার কথা থাকলেও সটিক বাবে হয়নি, বার বার সময় বাড়ানোর পরেও কাজ শেষ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট পি আইসি, বাধগুলো এতই দুর্বল ছিল যে, মাত্র কয়েক ঘণ্টার পানির চাপ সামলাতে পারেনি।
হাওরের কৃষকদের দুর্দশা লাঘব ও শস্য নিরাপত্তা রক্ষায় কৃষক দলের কতিপয় সুপারিশ তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণে সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধ করতে হবে। এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
বছর বছর বাঁধ নির্মাণ না করে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বিনা সুদে বিশেষ ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। ঋণগ্রস্ত কৃষকের ঋণের সুদ মওকুফ এবং স্বাভাবিক অবস্থা না ফেরা পর্যন্ত ঋণের কিস্তি নেওয়া বন্ধ করতে হবে। হাওর অঞ্চলের কৃষকের আর্থ-সামাজিক অবস্থা পরিবর্তনের জন্য গণমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হবে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নাজিম উদ্দিন আলম, মীর সরাফত আলী সপু, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, সহ সভাপতি ভিপি ইব্রাহিম উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ এক নির্বাচনী এলাকার গনমানুষের নেতা কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহঃ সাধারন সম্পাদক, সুনামগঞ্জ জেলা কৃষকদলের বিপ্লবী আহ্বায়ক, জেলা বিএনপির সহঃ সভাপতি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আনিসুল হক, জামাল উদ্দিন খান মিলন সুনামগঞ্জ জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আব্দুল ওয়াদুদ প্রমুখ।
About Author
