প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয় প্রকল্পে ঘর দেবে এই আশ্বাসে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে ভুয়া সাংবাদিক দম্পতি’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪
মোঃআফজাল হোসেন শান্ত, ঢাকা
এলিট ফোর্স হিসেবে র্যাব আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই আইনের শাসন সমুন্নত রেখে দেশের সকল নাগরিকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার লক্ষ্যে অপরাধ চিহ্নিতকরণ, প্রতিরোধ, শান্তি ও জনশৃংখলা রক্ষায় কাজ করে আসছে। সাম্প্রতিক কালে প্রতারণার নতুন নতুন কৌশল ব্যবহার করে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এক শ্রেণীর প্রতারক চক্র। জঙ্গীবাদ, খুন, ধর্ষণ, নাশকতা এবং অন্যান্য অপরাধের পাশাপাশি সাম্প্রতিক এসব প্রতারক চক্রের সাথে সম্পৃক্ত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র্যাব সদা তৎপর।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৭/০৬/২০২২ ইং তারিখ ০৮.৩০ ঘটিকার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ঢাকা জেলার রাজাসন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্ন টিভি সাংবাদিক পরিচয় প্রদান এবং ‘‘নগর অংশীদারীত্বের মাধ্যমে দারিদ্র হ্রাসকরণ প্রকল্প’’, ‘‘নারী প্রগতি সংসদ’’ ও ‘‘নারী উন্নয়ন কমিটি’’ ভুয়া প্রকল্প ও সমিতির প্রলোভন দেখিয়ে দেখিয়ে প্রতারণা করার অপরাধে ৪০ টি পাশ বই, ০২ টি রেজুলেশন বই, ০৪ টি রেজিষ্টার, আবেদন ফরম-৩৮ টি, ০৯ টি সীল, আইডি কার্ড-০৯ টি, ১০০ টি জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, ০২ টি মোবাইলসহ নিম্নোক্ত প্রতারকচক্রের ০২ সদস্য’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়ঃ
(১)মোঃ সুমন হাওলাদার @ সুমন উদ্দিন @ ইদ্রিস আলী (৪০), জেলাঃ পটুয়াখালী।
(২)মোছাঃ পলি আক্তার (৩৫), জেলাঃ পটুয়াখালী।
গ্রেফতারকৃত মোঃ সুমন হাওলাদার @ সুমন উদ্দিন @ ইদ্রিস আলী (৪০), এবং মোছাঃ পলি আক্তার স্বামী স্ত্রী। গ্রেফতারকৃত মোঃ সুমন হাওলাদার @ সুমন উদ্দিন @ ইদ্রিস আলী নিজে’কে সে আর্ন্তজাতিক সংস্থার এনজিও প্রতিষ্ঠানের একজন উধ্বর্তন কর্মকর্তা প্রদানসহ বিভিন্ন সংবাদপত্রের সাংবাদিক পরিচয় প্রদান করতো এবং বিভিন্ন সাংবাদিক এবং বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক সংস্থার ভুয়া আইডি কার্ড দেখিয়ে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রতারনার মাধ্যমে টাকা আতœসাৎ করে আসছিলো। এছাড়াও পলি খানম (৩৫), মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘর দেবেন এরূপ আশ্বাস প্রদান করে নগর অংশীদারীত্বের মাধ্যমে দারিদ্র প্রকল্পে(ইউপিপিআর), নারী প্রগতি সংসদ ইত্যাদি সংগঠনের নামে ভূয়া পাশ বই তৈরি করে বিভিন্ন নারী সদস্যের নামে টাকা তুলে সেই টাকা আত্মসাৎ করে। সে সাভারের গেন্ডারিয়া, রাজাসন এলাকার বহু নারী সদস্যের ভোটার আইডি ও ছবি সংগ্রহ করে তাদেরকে ঘর করে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। ঘর দেয়ার জন্য সর্বনিম্ন ৫০০০ টাকা থেকে শুরু করে ২/৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। প্রায় ৩০০ ভুক্তভোগী আছে যারা পলির স্বাক্ষর করা পাশ বইয়ের মাধ্যমে টাকা জমা প্রদান করে প্রতারিত হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় অপকর্মের বিষয়টি স্বীকার করেছে এবং এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। অদূর ভবিষ্যতে এইরুপ প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে র্যাব-৪ এর জোড়ালো সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।