সাইফুর রহমান শামীম,,কুড়িগ্রাম : ১৭.০৬.২০২২
কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুকুমোরের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর, ফুলবাড়ী, চিলমারী, রাজারহাট উপজেলার অন্তর্ত: ৫০ হাজার মানুষ। চর ও দ্বীপচরগুলো প্লাবিত হওয়ায় ভেঙ্গে পড়েছে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা।
ঘর-বাড়ি তলিয়ে থাকায় অনেক পরিবার ঘরের ভিতর উচু মাচা ও নৌকায় দিন পার করছেন।
সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা, যাত্রাপুর, পাঁচগাছী ইউনিয়ন, উলিপুর উপজেলার হাতিয়া, বেগমগন্জ, সাহেবের আলগা, চিলমারী উপজলার চিলমারী, অষ্টমিরচর, নয়ারহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে এসব এলাকায় প্রায় ৫০ হাজার মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।
সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর জানান, যাত্রাপুর ইউনিয়নের পাড়ারচর, রলাকাটা, খেয়ার আলগা, বড়য়া ও মাঝিয়ালির চরের প্রায় ৫ হাজার মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।পার্শ্ববর্তী ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সাইদুর রহমান জানান, ধরলার অববাহিকায় আমার ইউনিয়নে ২৫টি গ্রামে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এতে করে এসব গ্রামের প্রায় ১২৭৩ পরিবারের ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। পাঙ্গার চর গ্রামে দুইটি বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন জানান, ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার, দুধকুমোরের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয় প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তাসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বিপদসীমার সামান্য নীচ দিয় প্রবাহিত হচ্ছে।
আগামী ২৪ ঘন্টায় উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে নদ-নদীর পানি আরো বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ।
সর্ম্পকিত খবর সমূহ.
November 21, 2024