এস.এম.বিপু রায়হান,সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ অব্যাহতভাবে পানি বাড়ায় দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে সিরাজগঞ্জের বন্যাকবলিতদের। জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে প্রতিদিনই। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা, তলিয়ে যাচ্ছে বসতবাড়ি ও রান্নাঘর।
কাজিপুর পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বুধবার (২২ জুন) সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে বন্যার পানিতে সদর উপজেলার চর মালশাপাড়া এলাকায় বেশ কয়েকটি মুরগির খামার পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিতে ডুবে মারা গেছে খামারের অনেক মুরগি। এতে সব হারিয়ে লোকসানের মুখে দিশেহারা খামার মালিকরা। এছাড়া এসব এলাকার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের নলকূপ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে খাবার পানির সংকট।
জানা যায়, কয়েক দিন ধরে অব্যাহতভাবে পানি বাড়ায় জেলার ৫ উপজেলার চরাঞ্চলবেষ্টিত প্রায় ১৩টি ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় নিম্নাঞ্চলের মানুষ বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে কোনোমতে ঘর তুলে থাকছেন তারা।
এদিকে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যমুনার তীব্র স্রোতে ভাঙন দেখা দিয়েছে শাহজাদপুর, বেলকুচি, এনায়েতপুর ও চৌহালিতে। এসব এলাকায় ভাঙনে প্রতিদিনই নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি, গাছপালা, ফসলি জমিসহ বিস্তীর্ণ জনপদ। ভাঙনে বসতবাড়িসহ সহায়সম্বল হারিয়ে খোলা আকাশের নিয়ে অসহায় জীবনযাপন করছে নদী র্তীরবর্তী মানুষ।
তবে জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ জানান, জেলার সার্বিক বন্যা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পানি বাড়লেও এখনো কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে আসেনি। তিনি আরও বলেন, বন্যায় প্লাবিত এলাকাগুলোতে তালিকা তৈরির কাজ চলছে। তালিকা তৈরি হলে সেই অনুযায়ী ত্রাণ বরাদ্দ করা হবে বলে জানান তিনি।