রাকিব হোসেন, ঢাকাঃ বিশ্বব্যাপী নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির বাজারে মধ্যবিত্তের আয়ের কথা বিবেচনা করে করমুক্ত আয়ের সীমা তিন লাখ থেকে বৃদ্ধি করে চার লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছেন কর আইনজীবীরা। তারা বলেন, এখানে সরকারের যতটুকু রাজস্বহানি হবে, তা উচ্চবিত্তের কাছ থেকে আদায় করে পুষিয়ে নিতে আয়কর হারে আরেকটি স্তর সৃষ্টির প্রস্তাব করছি, যা হবে দুই বছর আগের মতো। অর্থাৎ ২৫ লাখ টাকার ওপরে আয়ের জন্য ৩০ শতাংশ আয়কর আরোপের প্রস্তাব করছি।
বুধবার (২২ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ ট্যাক্স ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং ঢাকা ট্যাকসেস বার অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে ২০২২-২০২৩ সালের জাতীয় বাজেট পরবর্তী সাংবাদ সম্মেলনে তারা এ সুপারিশ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অর্থ বিল-২০২২ আয়কর আইনে সরকার কর্তৃক প্রস্তাবিত ভালো পদক্ষেপের সমর্থনসহ কিছু সংশোধন ও সংযোজনের ক্ষেত্রে তারা আরও সুপারিশ করে বলেন, অর্থ বিল-২০২২-এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশের ১৪৩ ধারায় নতুন একটি ক্লজ সংযোজন প্রস্তাব করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, উপকর কমিশনার ইচ্ছা করলে বকেয়া কর আদায়ের জন্য করদাতার গ্যাস, বিদ্যুৎ অথবা পানির লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার আদেশ দিতে পারবে। আমরা এই ক্রুজের বিলুপ্তির দাবি করছি। কারণ এই ধারা সংযোজন করা হলে আয়কর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক করদাতারা আরও বেশি হয়রানির শিকার হবেন।
এছাড়াও কোনও ব্যক্তি কোনও আয়কর কর্মকর্তাকে সহায়তা না করলে অথবা বাধা দিলে আয়কর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ৫০ লাখ টাকা জরিমানার বিপরীতে জরিমানার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করেন কর আইনজীবীরা।
সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন– বাংলাদেশ ট্যাক্স ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মো. সোহরাব উদ্দিন, সদস্য সচিব মো. খোরশেদ আলম, ঢাকা ট্যাকসেস বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আবু আমজাদ, সাধারণ সম্পাদক মো. জাকারিয়া খান স্বপন প্রমুখ।