মোঃ মজিবর রহমান শেখঃ ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার রুহিয়ায় এক ভন্ড তান্ত্রিকের কোবলে পরে আনছুরা আক্তার(২১) নামে এক নারীকে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষকের বিরুদ্ধে রুহিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার (২৪ জুন) রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) শহিদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ধর্ষক নিশি মাহাত (তান্ত্রিক)কবিরাজ প্রভাত চন্দ্র রাজাগাঁও ইউনিয়নের আসাননগর গ্রামের মৃত খকেন্দ্রনার্থ বর্মনের ছেলে। অভিযোগে জানা যায় ওই নারী কিছুদিন ধরে অসুস্থ্য থাকায়, লোকমুখে তার বাবা জানতে পারে জন্য পাটিয়াডাঙ্গী বাজারে নিশি মাহাত নামে একজন কবিরাজ আছে। চিকিৎসার জন্য সেই কবিরাজের স্বরনাপন্ন হলে আমার বাসায় এসে ঝাড়ফুঁক করে আমার সুস্থ্য করে দিবে মর্মে ২০ হাজার টাকা দাবি করে। কয়েক কিস্তিতে ১৭ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। পরে একদিন ওই ভন্ড তান্ত্রিক প্রভাত চন্দ্র আমাকে বলে আপনার মেয়েকে আমার বাড়িতে দুই দিন থাকতে হবে। রাতে পূজা পানি করে পুরোপুরি সুস্থ্য করে তুলতে হবে। সেই কথার প্রেক্ষিতে মেয়ের সুস্থ্যতার কথা ভেবে গত শুক্রবার (১৭ জুন) তার বাসায় নিয়ে যাই। একদিন পর গত শনিবার (১৯ জুন) আবার মেয়েকে নিয়ে যেতে চাইলে আমাকে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়। অভিযোগে আরও জানা যায়, ভন্ড তান্ত্রিক প্রভাত চন্দ্র ধর্ষণের পর আমার মেয়েকে ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে। এবং বলে যদি কাউকে বলি তাহলে নাকি বান মারবে, সে আর কোন দিন কথা বলতে পারবে না। এই ঘটনা শোনার পর গত বুধবার (২২ জুন) দুপুরে ভন্ড তান্ত্রিকের বাড়িতে গেলে স্থানীয় লোকজন বলেন প্রভাত চন্দ্র কোন কবিরাজ নয়।
ভুক্তভোগী ঐ নারী বলেন, ভন্ড তান্ত্রিক প্রভাত চন্দ্র চিকিৎসার জন্য আমাকে তার বাড়িতে থাকতে বলেন। আমার বাবা একদিন তার বাড়িতে থাকার জন্য নিয়ে আসলে সেই রাতে ভন্ড তান্ত্রিক প্রভাত চন্দ্র ও তার স্ত্রীর সহায়তায় আমাকে রাতভর ধর্ষণ করে। ধর্ষণের বিষয়টি আমি কাউকে বললে, আমার সমস্যা হবে বলে ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে। রাজাগাঁও ইউপি সদস্য মাসুদ রানা বলেন, স্থানীয় লোকজন আমাকে ফোন করে জানায় যে, এলাকার প্রভাত চন্দ্র ভন্ড তান্ত্রিক হিসেবে একজন মহিলাকে রাতভর ধর্ষণ করেছে। সেই মহিলার পিতা বিচারের জন্য প্রভাত চন্দ্রের বাড়িতে আসলে অভিযুক্ত প্রভাত চন্দ্র পালিয়ে যায়। বিষয়টি আমি আমার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি ভুক্তভোগী পরিবারকে রুহিয়া থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেন। রাজাগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান খাদেমুল ইসলাম সরকার বলেন, ঐ নারী তার বাবাকে সাতে নিয়ে পরিষদে আসলে আমি তাদেরকে রুহিয়া থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেই। রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) শহিদুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী নারীর পিতা আনিসুর রহমান বাদী হয়ে অভিযুক্ত প্রভাত চন্দ্রকে আসামী করে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে । নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
সর্ম্পকিত খবর সমূহ.
November 21, 2024