সারাদেশে

সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে ফ্যাসিবাদের দোসর সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে:পিআইবির মহাপরিচালক

ঈদগাঁও প্রতিনিধি, কক্সবাজার। বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউট- পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেছেন, জুলাই আন্দোলন আমাদেরকে নতুন পথ দেখিয়েছে। তবে এখনো আমরা ঝড়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। প্রতিনিয়ত আমাদেরকে গুজব নামক মিথ্যার বিরুদ্ধে লড়াই করতে হচ্ছে। এখনো আমরা ফ্যাসিবাদ বা নতুন ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছি। পতিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছিল। রাষ্ট্রের বিভিন্ন বাহিনীর সন্ত্রাস ভাঙতে তাই ছাত্রদেরকে রাজপথে নামতে হয়েছিল। তিনি ২৫ মে রবিবার কক্সবাজারে মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম বিষয়ক প্রশিক্ষণের সমাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। পিআইবির মহাপরিচালক আরো বলেন, সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্বশীলতার মাধ্যমে নানা সামাজিক প্লাটফর্মে নতুন পরিমণ্ডল গড়ে তুলতে হবে। ঝুঁকির মুখেও সৎ সাহস এবং দেশপ্রেম নিয়ে পাঠকদের বহুমুখী চাহিদা পূরণে পেশাগত দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি কক্সবাজারের বঞ্চিত সাংবাদিকদের জন্য নতুন নতুন প্রশিক্ষণের আয়োজন করবেন বলে আশ্বাস দেন। কক্সবাজার অরুণোদয় স্কুল সম্মেলন কক্ষে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউট তিন দিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। প্রশিক্ষণ আয়োজনে সহযোগিতা করেছে সাংবাদিক ইউনিয়ন, কক্সবাজার। ২৩ মে কক্সবাজার জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এ প্রশিক্ষণ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছিল। সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি ও কক্সবাজার প্রেসক্লাব সভাপতি মাহবুবর রহমান, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এস,এম আমিনুল হক চৌধুরী, পিআইবির প্রশিক্ষণ সমন্বয়ক জিলহাজ উদ্দিন নিপুন। অভিমত ব্যক্ত করেন প্রশিক্ষণার্থী ইমাম খাইর ও শাহেদ মিজান। সাংবাদিক ইউনিয়ন, কক্সবাজারের আহবায়ক কমিটির সদস্য এডভোকেট আবু সিদ্দিক ওসমানীর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি কামাল হোসেন আজাদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন বাহারী, অর্থ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হেলালী, সদস্য শামসুল হক শারেক, ইকরাম চৌধুরী টিপু, পিআইবির পিএস-টু মহাপরিচালক এস, এম জাহিদ ও কর্মকর্তা মাহবুবুল হক। সমাপনী দিনের প্রথম অধিবেশনে রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ক নানা প্রশ্নের উত্তর দেন কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোঃ মিজানুর রহমান। গণমাধ্যম ও ফ্যাক্টচেক সংক্রান্ত সেশন পরিচালনা করেন ফ্যাক্টচেক বিশেষজ্ঞ কদরুদ্দীন শিশির। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার বলেন, সাংবাদিকদের চোখ দিয়ে মানুষ বিশ্বকে দেখে। করিডোর নিয়ে কারো সাথে কোন আলোচনাই হয়নি। তিনি রোহিঙ্গাদের সার্বিক ব্যবস্থাপনার জন্য বছরে এক বিলিয়ন ডলার দরকার বলে মন্তব্য করেন।

0 Shares

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *