মোঃ কবির হোসেন,স্টাফ রিপোর্টারঃমানবতার মুক্তির দূত, বিশ্বনবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) মানব সেবার জন্য আরবের যুবকদের নিয়ে গঠন করেছিলেন হিলফুল ফুজুল। দরিদ্র ও দুস্থদের সহায়তা করেছেন নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে। মানব সেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন চূড়ান্ত পর্যায়ের।
তাইতো তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানবের আসনে আসীন হয়েছেন।
আসলে আমাদের সৃষ্টিই করা একে অপরের কল্যাণকামীতার জন্য। বিপদে-আপদে একে অন্যের পাশে থাকা ও সহযোগিতার হাতকে সম্প্রসারণের জন্য।
আল্লাহ তায়ালা মানবজাতির পরিচয় এভাবে তুলে ধরেছেন, তোমরাই শ্রেষ্ঠ জাতি, মানুষের কল্যাণের জন্য তোমাদের সৃষ্টি করা হয়েছে। (সূরা আলে ইমরান, আয়াত ১১০)
অভুক্ত ব্যক্তিকে আহার্য দেয়ার ফজিলত বলতে গিয়ে রাসূল (সা.) বলেছেন, মানুষের কল্যাণ-সংশ্লিষ্ট যত কাজ আছে, তার মধ্যে সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম হচ্ছে দরিদ্র ও ক্ষুধার্তকে খাবার দান করা। (বুখারি, হাদিস : ১২)
রাসূল (সা.) আরও বলেছেন, ‘কোনো বান্দা যতক্ষণ তার ভাইয়ের সাহায্যরত থাকে, আল্লাহ তায়ালাও ততোক্ষণ তাকে সাহায্য করতে থাকেন।’ (তিরমিজি)
মানবতার সবক শেখাতে গিয়ে রাসূল (সা.) বলেছেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা তার বান্দাকে জিজ্ঞেস করবেন, আমি ক্ষুধার্ত ছিলাম, তুমি আমাকে আহার্য দাওনি। আমি তৃষ্ণার্ত ছিলাম, তুমি আমাকে পানি দাওনি। আমি অসুখে ভুগছিলাম, তুমি আমার সেবা করনি। (কেন?)
সেই দুস্থ অসহায় নিপীড়িত, প্রতিবন্ধী মানুষের পাশে দাড়ানো একরকম নেশা হয়ে দাড়িয়েছে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার টগবী ইউনিয়নের দফাদার বাড়ির মোঃ শাহাবুদ্দিন মিয়ার একমাত্র পুত্র সন্তান মোঃ জীবন মাহমুদের ।
২০১৬ সালে কাচিয়া টগবী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি গন্ডি পার হয়ে ২০১৮ সালে উপজেলার হাফিজ ইব্রাহীম মহাবিদ্যালয় থেকে সুনামের সহিত এইচ এসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২০২০ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনিতে যোগ দেন । সে থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় যখনই অসহায় মানুষের কোন সমস্যা চোখে পড়ে তখনই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন এই জীবন মাহমুদ । আইনি সহায়তা , বাসস্থানের ব্যবস্থা , চিকিৎসা সেবা , রক্তদান , কৃত্রিপ পা প্রতিস্থাপন , শীতকালীন সময়ে শীতার্তদের বস্ত্র প্রদান , অসহায়দের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
বিগত করোনাকালীন সময়ে ১০০ পরিবারকে মানবিক সহায়তা প্রদান করেন জীবন মাহমুদ ।এ যাবত তিনি ৫০ টি পরিবারকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা , ৫০০ ব্যাগ রক্ত প্রদান , ৫টি গৃহহীন পরিবারকে ঘর উপহার দেয়া, ২০ জনকে কৃত্রিম পা প্রতিস্থাপন করে দেয়া, ৫০ জন লোককে চিকিৎসা সেবা দিয়ে পুরোপুরি সুস্থ করে তোলা ।
এই পুলিশ সদস্য এক সময় নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী মানুষের পাশে দাড়ান , পরবর্তীতে নিজ ফেজবুক পোস্ট থেকে মানুষের সমস্যা গুলো তুলে ধরলে অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন, এবং বর্তমানেও এভাবে অনেক বিত্তশালী, সরকারি আমলা এদের অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতায় অর্থনৈতিক ফান্ড সৃষ্টি করে মানুষের পাশে দাড়ান । তার এই ধারাবাহিক মানবিক কাজের প্রমাণ মেলে ৭ ই আগষ্ট রোজ (রবিবার) সাংবাদিক মোঃ কবির হোসেন তার নিজস্ব ফেসবুক ওয়াল থেকে একটি পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায়
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ফকির বাড়ির মোঃ আজিজুল হকের প্রতিবন্ধী সন্তান মোঃ জসিম( ৪০) এর জন্য একটি হুইল চেয়ার প্রয়োজন চলাচলের জন্য , তখনই এ বিষয়টি পুলিশ সদস্য জীবন মাহমুদের নজরে আসে তখনই তিনি সাংবাদিক কবির হোসেনের পোস্টে কমেন্ট করে আশ্বাস দেন তিনি একটি হুইল চেয়ার দেয়ার ।
আর এ জন্যই তিনি নিজস্ব পুলিশ বাহিনী , নিজ জেলা ভোলায় একজন মানবিক পুলিশ অফিসার হিসেবে বেশ পরিচিত অর্জন করেন। তার এই মানবিক কাজের জন্য সেচ্ছাসেবী ফ্লাট ফর্ম বরিশাল বিভাগের শেষ্ঠ সেচ্ছাসেবী ও হয়েছেন । বর্তমানে জীবন মাহমুদ বরিশাল বিভাগের পুলিশ লাইনে কর্মরত আছেন , এবং ব্যক্তিগত জীবনে এখনো তিনি অবিবাহিত ।