রুহুল আমিন,পবিপ্রবি প্রতিনিধিঃপটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
জন্মাষ্টমী বা কৃষ্ণজন্মাষ্টমী বিষ্ণুর অবতার কৃষ্ণের জন্মদিন হিসেবে পালিত হয়। এর অপর নাম কৃষ্ণাষ্টমী, গোকুলাষ্টমী, অষ্টমী রোহিণী, শ্রীকৃষ্ণজয়ন্তী । ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয়, তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়।কৃষ্ণের জীবনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড (গান বা কীর্তন, গীতিনাট্য, নাট্য, যাত্রা ইত্যাদি) এর মাধ্যমে রাসলীলা, কংস বধ ইত্যাদি কর্মকাণ্ড এর মাধ্যমে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এই দিবসটি সাধারণত পালন করে থাকেন।শ্রী কৃষ্ণ হলেন দেবকী এবং বাসুদেবের অষ্টম সন্তান।
প্রতিবছরের ন্যায় এই বছরও সনাতন সংঘ (বরিশাল ক্যাম্পাস, পবিপ্রবি) অত্যন্ত ভাব গাম্ভীর্যের সাথে ধর্মীয় এই দিনটি উদযাপন করে। পবিপ্রবি এ্যানিমাল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারী মেডিসিন অনুষদীয় কেন্দ্রীয় মন্দির প্রাঙ্গণে গত শুক্রবার ভোরে মঙ্গলঘট স্থাপনের মাধ্যমে জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়।সংগঠনটি সারাদিন ব্যাপি বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করে। দিবসটি উপলক্ষে উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল, মঙ্গল শোভাযাত্রা, শ্রী কৃষ্ণ পূজা, গীতাপাঠ ,আলোচনাসভা এবং অভিষেক।উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন সনাতন সংঘের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী এবং কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ। দিবসটি উপলক্ষে সনাতন সংঘের কার্যনির্বাহী কমটির সভাপতি ড. প্রদীপ কুমার সরকার বলেন, জগতে সবাই সুখে থাকুক, সবাই শান্তিতে থাকুক। বাংলাদেশসহ জগতের যত প্রানী আছে সবাই সুখে থাকুক। মন্দির কমিটির সভাপতি ড . ননী গোপাল সাহা দিনটি উপলক্ষে বিশ্ব শান্তি কামনা করেন। কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক ধনেশ চন্দ্র বর্মণ দিবসটি উপলক্ষে বলেন, উৎসব সার্বজনীন। শ্রী কৃষ্ণ এর জীবনাদর্শ আমাদের জন্য অনুকরনীয়। বিশ্বের সকল প্রানী সুখী হোক, শান্তিতে থাকুক।