লিপন খান,কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃকিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার ষাইটকাহন এলাকার যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন এ-র পরিবারের জমি দখল ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভোক্তভোগী পরিবার। ১১ আগষ্ট সকাল ১১ টায় মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেনের বাড়িতে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে স্হানীয় মেম্বার সহ এলাকার গন্যমাম্য প্রতিবেশীরা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফরিদা ইয়াসমিন, শেফালী,কাঞ্চন, হাসি সহ বক্তরা বলেন, ষাইটকাহন এলাকার সুনাম উদ্দিনের মেয়ে মমতাজ গত এক বছরে ৯ টি মিথ্যা মামলা দিয়ে ৬ টি পরিবারকে হয়রানি করেছে। সেই সাথে মামলার বিবাদীদের জমা জমি দখল করেছে। স্হানীয় গুন্ডা বাহিনী দিয়ে সে এসব অপকর্ম করে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। টাকা না পেলেই চলে হামলা ও নাটকীয় মামলা। তার মামলায় অসহায় হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। এমনকি বিদেশে থাকা কাঞ্চনকেও এ-সব মিথ্যা মামলায় আসামি করে জানান, ভোক্তভোগী কাঞ্চন। মানসিক সমস্যার রোগীকেও আসামি করা হয়েছে বলে জানান বক্তারা ও এলাকাবাসী।মামলাবাজ ও জমি দখল বাজ মমতাজের শশুর বাড়ী নান্দলা হলেও বিভিন্ন সময়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য বাবার বাড়ীতে এসে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের পৈত্রিক জমি জোর পূর্বক দখল করে নিচ্ছে। এছাড়াও মমতাজ তার ভাই গিয়াস উদ্দিন দ্বারা স্থানীয় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জোর করে জমি ক্রয় বিক্রয় করিয়া অবৈধ ভাবে ভোগ দখল করে। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন উনার বক্তব্যে বলেন আমার স্বামী মৃত আবুল হোসেনের কবরের উপর গরুর ময়লাসহ আবর্জনা ফেলে রাখে। আমরা নিষেধ করিলে গিয়াস উদ্দিন, মমতাজ ও তার সঙ্গীয় গুন্ডা বাহিনী দিয়ে আমাদের উপর হামলা চালায়। উক্ত ঘটনায় এলাকাবাসীসহ প্রশাসনের লোকজন বিভিন্ন সময়ে দেন-দরবার ও আইনী সহায়তার পরামর্শ দিয়েও মমতাজ বাহিনীর হাত থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারছি না। বিভিন্ন সময়ে আমাদের বিরুদ্ধে থানা ও কোর্টে দাখিলকৃত মিথ্যা মামলার জালে ফেলে আমাদের টাকা পয়সা, বাড়ী-ঘরের অনেক ক্ষয়ক্ষতি করিয়াছে। মমতাজ বাদী হয়ে এবং তার ভাইদের সাক্ষী করে এসব মামলা সাজিয়ে আমাদের লোকজনকে বাড়ীর বাহিরে রেখে এ সুযোগে আমাদের জমিতে ঘর তৈরি করে দখল করে নেয়। এমনকি তাদের পরিবারের বিভিন্ন ঝগড়া ঝাটিতে আমাদেরকে আসামী করে হয়রানী করে চলছে। এব্যাপারে তদন্ত করে সত্য উদঘাটন পূর্বক নিরপরাধীদের হয়রানি করা মমতাজের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ভোক্তভোগি পরিবার।