মোঃ কবির হোসেন,স্টাফ রিপোর্টারঃদেশি প্রজাতির হাঁস স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ছাড়া কালো ডিম দেয়া নিয়ে ভোলার চরফ্যাশনে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে ।
উপজেলার জিন্নাগড় ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের আবদুল মন্নান রাঢ়ী বাড়ীর আঃ মতিনের স্ত্রী তাসলিমা বেগমের পালিত একটি হাঁস গতকাল এই অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় একটি কালো ডিম দেয়।
তাসলিমা বেগম স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, তার পালিত ১১টি দেশি হাঁসের মধ্যে ৮ মাস বয়সের একটি হাঁস এই প্রথম ডিম পাড়ে। ডিমের রং একেবারে কালো বর্ণের দেখে প্রথমে ভয় পেয়ে যায়। পরে ডিমটি বাড়ির অন্যদের দেখালে মুহুর্তের মধ্যে কালো ডিমের সংবাদটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। দেশি হাঁসের কালো ডিম দেখতে সে বাড়িতে মানুষের ভিড় জমায়।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার মন্ডল বলেন, হাঁস এধরনের কালো ডিম পেড়েছে এই প্রথম শোনলাম , জিংডিং জাতের একপ্রকার হাঁস হালকা নীল রঙের ডিম দেয় কিন্তু কোনো হাঁস কালো ডিম পেড়েছে কখনো শুনিনি এবং দেখিনি। তিনি আরও বলেন, ভারতীয় ব্রিডের কাদারনাথ বা কালো মাসি জাতের মুরগী কালো ডিম পাড়ে । যার মাংসও কালো। হাঁসে কালো ডিম পাড়ার নেপথ্যে জরায়ুর কোন সমস্যা হতে পারে। সাধারণত হাঁসের জরায়ুতে ডিমের খোসাটি ১৯ ঘন্টা থাকে। তিনি এই কালো ডিমকে অস্বাভাবিক ডিম বলে মন্তব্য করেছেন। আগামী দিনগুলোতেও যদি এই হাঁস কালো ডিম পাড়ে তাহলে পরবর্তীতে হাঁস ও ডিম পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে ।