তাহিরপুর,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ ১৯ নভেম্বর বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ কে সফল করতে ইতিমধ্যে নেতাকর্মী সমর্থকদের নিয়ে ধর্মঘটের কারনে সুনামগন্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিভিন্ন উপায়ে সিলেটের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেছেন জিয়ার সুর্য সৈনিকেরা।
সুনামগঞ্জ জেলা বি এনপির সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক সফল উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, ‘ এই সমাবেশ সিলেট বিভাগের সম্মানের বিষয়। তাই সুনামগঞ্জ জেলার প্রতিটি ইউনিট থেকেই মানুষ পায়ে হেটে, নৌকা যোগে, পুলিশের বাঁধা অতিক্রম করে মোটরযানে ছুটে চলেছেন সিলেটে। স্লোগানে স্লোগানে সিলেটের সমস্ত রাস্তা মুখরিত চল চল সিলেট চল সমাবেশ সফল কর।
সমাবেশে যোগ দিতে কত মানুষ যেতে পারেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আগে আমরা বলতে পারতাম কত মানুষ যাবে সমাবেশে। কিন্তু এখন বলা মুশকিল। কারণ এখন এই আন্দোলন গণমানুষের আন্দোলনে পরিনত হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের পায়ের নীচে এখন মাটি নেই। সরকার শত চেষ্টা ষড়যন্ত্র করেও বিএনপির গণসমাবেশে জনস্রোত ঠেকাতে পারবে না। জনগণ রাজপথে নেমে এসেছে। শুধু গণসমাবেশ নয়, বিএনপির প্রতিটি কর্মসূচিতেই জনগণ সম্পৃক্ত হচ্ছে। কর্মীসভাও গণসমাবেশে পরিণত হচ্ছে। যার মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট তৈরি হচ্ছে। গণঅভ্যুত্থানে গণবিরোধী আওয়ামী লীগ সরকারের পতন নিশ্চিত হবে।’
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য নজির হুসেন বলেন, ‘ ১৯ তারিখ সিলেটের গণসমাবেশ মহাসমাবেশে রূপান্তর হবে। সুনামগন্জের প্রতিটি ইউনিয়ন ওয়ার্ড থেকে বি এনপির নেতা কর্মী সমর্থকরা সকল বাঁধা অতিক্রম করে সিলেটে ছুটে চলেছেন।
সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি এবং সাবেক সংসদ সদস্য কলিমউদ্দিন আহমদ মিলন বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপি আন্দোলন করছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ হিটলারের প্রেতাত্মা। এই আওয়ামী লীগ ১৬৪ দিন দেশের অর্থনীতিকে জিম্মি করে চিটাগাং পোর্ট বন্ধ করে দিয়ে তত্বাবধায়ক সরকার প্রবর্তনের জন্য জ্বালাও-পোড়াও ও লগি-বৈঠার আন্দোলন করেছিল।
তিনি আরও বলেন, ‘সেদিন দেশকে রক্ষা করার জন্য বেগম জিয়া তত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি ষষ্ঠ সংসদে পাশ করেন। অথচ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সেই পদ্ধতিকেই বাতিল করলো। এখন তারাই দেশের মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, দিনের ভোট রাতে করছে। এ অবস্থা আর চলতে দেওয়া যায় না। যত বাধাই আসুক, তা পেরিয়ে দলের সব নেতা-কর্মীদের প্রস্তুতি নিতে হবে।