ডেস্ক রিপোর্ট: সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দে যুবলীগের সাথে উপজেলা বি.এন.পি ও অঙ্গ সংগঠনের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় বি.এন.পির নেতা-কর্মীরা দোকানপাট ভাংচুর, মোটর সাইকেলে অগ্নি সংযোগ ও প্রায় আটটি হাত বোমার বিস্ফোরন ঘটায়। শুক্রবার, সকালে উপজেলা বি.এন.পির কার্যলয়ে জয়পুরহাটে বি.এন.পির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে উপজেলা বি.এন.পি। উক্ত সভায় কেন্দ্রীয় বি.এন.পির নেত্রী সৈয়দা আশরাফি পাপিয়া, জেলা বি.এন.পির সভাপতি রুমানা মাহমুদ, জেলা বি.এন.পির সাধারন সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, উপজেলা বি.এন.পির সভাপতি বদিউজ্জামান ফেরদৌস , সাধারন সম্পাদক হাসনাতে রাব্বী উথান সহ বিপুল সংখ্যাক নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে, জামতৈল রেলওয়ে ষ্টেশনে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী এবং ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ:সভাপতি ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আজিজুর রহমান বাবুর নেতৃত্বে যুবলীগ নেতা বুলবুল আহমদ, জেলা ছাত্রলীগের সহ:সভাপতি রাকিব সরকার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রঞ্জু সরকার, হাজী কোরপ আলী মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ ছাত্রলীগেরে সাধারন সম্পাদক মাসুদ পারভেজ মুন্না, ছাত্রনেতা চরটেংরাইলের মাসুদ, পাহাল, রবিন শান্তিপূর্ণ ভাবে অবস্থান করছিলেন।
হঠাৎ বি.এন.পি কার্যালয়ের মধ্যে বসাকে কেন্দ্র করে বি.এন,পি নেতা-কর্মীদের নিজের মধ্যে হট্টগোল সৃষ্টি হয়, পরে এক পক্ষ কার্যলয়ের বাইরে এসে প্রথমে নিজেদের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়। পরবর্তীতে স্টেশনের উপর বসে থাকা যুবলীগ নেতৃবৃন্দকে উদ্দেশ্য করে সরকার বিরোধী শ্লোগান এবং পর পর কয়েকটি ককটেল নিক্ষেপ করে। এসম যুবনেতা খলিলুর রহমান, রেজাউল শেখ, মিজানুর রহমান মিজু, রাশিদুল, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আসাদুজ্জামান সবুজ, তাহমিনুজ্জামান রুমেল, সবুজ, তোরাব আলী সহ বেশ কিছু নেতাকর্মী উপস্থিত হয়ে পূর্বে থাকা নেতৃবৃন্দের সাথে এক হয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করে। তবে, উপজেলা বি.এন.পির চিন্হিত ক্যাডার শওকত আলী, হত্যা হামলার আসামী সরওয়ার, যুবদল কর্মী মাসুম ও ছাত্রদলের আহবায়ক হাসানের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র ও বাঁশ দিয়ে আওয়ামীলীগ নেতা সেলিম রেজা (কামারখন্দ) ও যুবলীগ নেতা আজিজুর রহমান বাবুকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে গুরুতর আহত করে। তাদের রক্ষার জন্য এগিয়ে গেলে উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতা হযরত আলী, যুবলীগ নেতা খলিলুর রহমান, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ নেতা বেলাল হোসেনও আহত হয়।
এদিকে হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সেলিম রেজা সেলিম, সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন শেখ, উপজেলা ভাইস চেয়রম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক সেলিম রেজা, মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদিকা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সম্পা রহমানের নেতৃত্বে বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন থেকে বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীরা জড়ো হলে বি.এন.পি নেতা কর্মীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। এ বিষয়ে উপজেলা বি.এ.পির সাথে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা পরবর্তীতে মন্তব্য করা হবে বলে উল্লেখ করেন। অন্য দিকে আওয়ামীলীগের সাথে যোগাযোগ করা হলে, উপজেলা ভাইস চেয়রম্যান সেলিম রেজা বলেন, আজকের সংঘর্ষ পূর্ব পরিকল্পিত, না হলে প্রথমে নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি করে ইচ্ছাকৃত ভাবে আমাদের দলীয় কয়েকজন নেতার উপর প্রকাশ্য দিবালোকে বোমা ছোড়া হয়েছে, দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করা হয়েছে।