মোঃ মজিবর রহমান শেখঃ বিভিন্ন বয়সী মানুষজন নিজের শরীরকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করছেন। প্রতিদিন খুব ভোরে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠে গেলে দেখা মিলে তাদের। তারা দল বেধে বিভিন্ন ধরনের কসরতের মাধ্যমে শরীরকে ভাল রাখার চেষ্টা করছেন। ২০১৪ সালে গুটি কয়েকজন মানুষ এই কাজটি শুরু করলেও বর্তমানে একটি সংগঠন গড়ে তুলেছেন তারা। সংগঠনের নাম দেওয়া হয় “ভোরের সাথী”। বর্তমানে সদস্য সংখ্যা প্রায় শতাধিক। ১৮ নভেম্বর
শুক্রবার সকালে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় বড় মাঠে গিয়ে দেখা যায় সদস্যরা বিভিন্ন ব্যায়াম করছেন। প্রায় ৫০ জন সদস্য দলবেধে বিভিন্ন কসরত করছেন। তাদের মধ্য থেকে একজন প্রথমে দীর্ঘ নিঃশ্বাস নিয়ে একটি ব্যায়াম করেন পরে সকলে তাকে অনুসরন করে সেই ব্যায়ামটি সকলে করে থাকেন। শুরুর দিকে সদস্য সংখ্যা কম থাকলেও ধীরে ধীরে তাদের সদস্য সংখ্যা বাড়ছে। সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বর্তমানে সাধারণ মানুষজন বিভিন্ন রোগে ভুগে থাকেন। সেই রোগ থেকে মুক্তির জন্য নিয়মিত ব্যায়ামটিকে বেছে নিয়েছেন তারা। ফলাফলও পাচ্ছেন। অনেকেই এখন নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে সুস্থতা বোধ করছেন।
ভোরের সাথীর সদস্য শিক্ষক আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত সকাল বেলা মাঠে আসি। নিয়মিত ব্যায়াম করি। আমাদের ব্যক্তিগত শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা থাকে, অনেকে নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে সুস্থ হয়ে উঠছেন। এখানে ৩০-৪০ টি ব্যায়াম করানো হয়। এই ব্যায়ামগুলি নিয়মিত করতে পারলে শরীরের অনেক উপকার হবে। সদস্য বিজয় কুমার রায় নামে এক সদস্য বলেন, প্রতিদিন এখানে ব্যায়ামের ফলে আমার শরীরের বিভিন্ন অসুস্থতা কমে গেছে। সকালে ব্যায়ামে যোগ দেওয়ার পর কখনও ঘন্টাখানিক কখনও দেড় ঘন্টা ব্যায়াম করার পর সারাদিন অনেক ভাল কাটে। সংগঠনের সভাপতি ও সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, আমরা ১৪ সালে অল্প কিছু মানুষ নিয়ে এ সংগঠন গঠন করি। কিন্তু ধীরে ধীরে আমাদের সদস্য সংখ্যা বাড়তে থাকে। আমরা প্রতিদিন সকালে বড় মাঠে মিলিত হয়ে বিভিন্ন শারীরিক কসরতের ফলে শরীরকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করি। বিশেষ করে মধ্য ও বয়স্ক মানুষদের শরীরে নানা সমস্যা যেমন, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিকস, বাত ব্যাথা, এজমায় আক্রান্ত। এখানে নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে উল্লেখিত রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা সুফল পাচ্ছেন।
এ ব্যপারে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা: নাঈম মিনহাজ কৌশিক বলেন, ভোরের সাথীর সদস্যদের নিয়মিত ব্যায়ামের বিষয়টি দেখেছি। এ জাতীয় ভাল কাজকে সাধুবাদ জানাই। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে তাদের ওই রোগের ঝুঁকি কমে যায়। জেনেছি এ সংগঠনটি ব্যায়ামের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কাজ করে থাকে। উল্লেখ্য, ৫-৭ জন নিয়ে “ভোরের সাথী” ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে সদস্য সংখ্যা শতাধিক। সংগঠনটি বিভিন্ন সামাজিক কাজের সাথেও জড়িত। এর মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ, চিকিৎসা সহায়তা প্রদানসহ বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ করে আসছে সংগঠনটি।