নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে এক উঠান বৈঠক ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার রাত ৮ টা থেকে ১০ঃ৩০ মি. পর্যন্ত ৫ নং ওয়ার্ড শেয়ালদী গ্রামে বুড়াইচ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি, জেলা কৃষক লীগের সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলমের নিজ উঠানে এ মতবিনিময় ও আলোচনা সভা হয়।রাতে শিয়ালদী ওয়ার্ড ও বিভিন্ন গ্রাম হতে আগত ১২০০ থেকে ১৫০০ লোকের উপস্থিতিতে ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীরকে একযোগে সমর্থন দিয়ে এক বিশাল মতবিনিময় ও নির্বাচনী আলোচনা করা হয়। উক্ত সভার সভাপতিত্ব করেন সিদ্দিকুর রহমান চুন্নু ও উপস্থাপনায় শফিকুল ইসলাম। চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম স্বাগতিক বক্তব্যে বলেন,গত নির্বাচনে ভোট দিয়ে আমাকে চেয়ারম্যান বানিয়ে ছিলেন। আমি ৫ পাঁচ বছর ধরে পরিষদ পরিচালনা করেছি।আমার মাঝে ভূল ত্রুটি থাকতে পারে,আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। সামনে নির্বাচন এবার ও
ওয়ার্ড থেকে আমার চেয়ে যোগ্য প্রার্থী থাকলে তাকে প্রার্থিতা ঘোষনা দেন। যাকে প্রার্থী দেবেন আমি তার পক্ষে সব ধরনের সহযোগিতা করব।আপনাদের সঙ্গে থেকে সেই প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করে ওয়ার্ডবাসীর মুখে হাসি ফুটাবো।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন,আমাদের ওয়ার্ডে আর কোন যোগ্য প্রার্থী নেই, জাহাঙ্গীরকে দিয়ে নির্বাচন করলে বিজয় করা সম্ভব হবে।সে ২৮ বছর ধরে(তিনবার মেম্বর১৮ বছর,প্রথম বার চেয়ারম্যান প্রার্থী পরাজয়,পরের বার চেয়ারম্যান ৫ বছর চলতি) জনগণের সাথে ভোটের রাজনীতি করে আসছে। আমি ইউনিয়ন ঘুরে দেখেছি ভোটারদের সাথে কথা বলেছি, তাকে এবারও ইউনিয়নবাসীর চেয়ারম্যান বানাতে চাই,সেই যোগ্য প্রার্থী।
আরিফুজ্জামান চাকলাদার
সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম বলেন,এই ইউনিয়নে একজন পরি ছন্ন চেয়ারম্যান পেতে চাইলে জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যান কেই প্রার্থী হতে হবে।তাকে ছাড়া অন্য কোন প্রার্থী দিয়ে বর্তমানে হেবি ওয়েট প্রার্থীদের মাঝে বিজয় আনা সম্ভব নয়।অন্য চেয়ারম্যান এর আমলে পরিষদ ভবনে মাদক সেবনের আখড়া হিসাবে পরিচিত ছিল। দুই পাশের ডুবায় ফেনসিডিলের খালি বোতল দেখা যেত।
রাতে অপরিচিত একাধিক নারী ও পুরুষের আনাগোনা লক্ষ্য করা যেত।জাহাঙ্গির চেয়ারম্যান ক্ষমতায় এসে সব কিছুই মুক্ত করেছে এসবের হাত থেকে সমাজকে রক্ষা করতে হলে তাকে চেয়ারম্যান বানাতে হবে। মেম্বর অসিত কুমার মৃধা বলেন,এই চেয়ারম্যান সকল মেম্বারদের নিয়ে সরকারের বরাদ্দ সঠিক নিয়মে বন্টন করেছে।যা পূর্বের কোন চেয়ারম্যান এরকম দৃষ্টান্ত দেখাতে পারে নাই। মুরুব্বী বয়সী হওয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যা ও ইউএনও স্যার সকলের কাছে গ্রহন যোগ্যতা বেশি ছিল।সরকারের বরাদ্দকৃত ভাগ বন্টনের মধ্যে তিনি বেশি বরাদ্দ পেত। চেয়ারম্যান বানাতে হলে তাকেই বানাতে হবে।আব্দুর রশিদ খান বলেন,আমরা তাকে ভোট দিয়ে তিনবার মেম্বার ও দুইবার চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে একবার চেয়ারম্যান বানিয়েছি। তিনি সৎ, দয়ালু, উদার মনের মানুষ,পরোপকারী ও তার সুনাম উপজেলা সব জায়গাতে শুনতে পায়, সে আমাদের ওয়ার্ডে একমাত্র যোগ্য প্রার্থী। তাকে এবারও ভোট দিয়েএবং তার নির্বাচন করে বিজয় ছিনিয়ে আনবো।
আরো বক্তারা বলেন, তিনি চেয়ারম্যান থাকাকালীন আমাদের ইউনিয়নের জনগণের মাঝে কোন মিথ্যা মামলা হামলা করতে দেয়নি।পুলিশ জনগণের উপর খামখেয়ালী কোন কাজকর্ম করতে পারে নাই।গত পাঁচ বছর আমাদের ইউনিয়ন শান্ত ছিল। রাস্তাঘাট উন্নয়ন করেছে, বিধবা ভাতা,বয়স্ক ভাতা, পঙ্গু ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা ও পরিষদ কার্যালয়ে বিচারের জায়গায় কোন বাণিজ্য শোনা যায়নি।ইউনিয়নের কোন জনগণকে গোপনীয়ভাবে পক্ষ দিয়ে মারামারি ও হয়রানি করতে দেখা যায়নি।এবং থানাতে ও তাকে কোন ধরনের দালালি করতে দেখা যায়নি এবারও তাকে আমরা চেয়ারম্যান বানাবো।
আরো বক্তব্য দেন, সাবেক মেম্বার চান মিয়া, কাজী শামসুজ্জামান, তবিবুর রহমান,রুস্তম মোল্লা, রফিকুল ইসলাম পলাশ,তৌহিদুল ইসলাম সবুজ,মুকুল মোল্লা,আজিজুর রহমান মুন্সী, ,আমিরুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, কাজী হায়াত প্রমূখ।