ফয়সাল আহমেদঃ ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২৪ ডিসেম্বরের জাতীয় সম্মেলনের আগেই হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে করে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। এরই মধ্যে মাঠেও নেমেছে পদ প্রত্যাশীরা। বিগত দিনে দলের প্রতি ত্যাগ এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলের জন্য ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পদ পেতে নিরলস প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
এবারের সম্মেলন ৮ ও ৯ ডিসেম্বর হওয়ার কথা থাকলেও গত ২৭ নভেম্বর এক ঘোষণায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, সম্মেলন হবে দু’দিন এগিয়ে ৬ ডিসেম্বর। তবে এর আগে ঢাকা মহানগরের উত্তর-দক্ষিণের সম্মেলনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
সম্মেলনে সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে।
জানা যায়, ছাত্রলীগের কমিটিতে পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে যাদের সাংগঠনিকভাবে সক্ষমতা ভালো, জনপ্রিয়তা রয়েছে, ক্লিন ইমেজ, পরিবারের সঙ্গে জামায়াত-বিএনপির কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই, অসাম্প্রদায়িক চেতনার অধিকারী তারাই আগামীতে নেতৃত্বে আসবে। পাশাপাশি যারা মানবিক কাজ করে আলোচনায় আসতে পেরেছেন, এমন ছাত্রনেতারাও এগিয়ে থাকবেন।
মহানগর উত্তর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবারের মহানগর ছাত্রলীগ উত্তরের কমিটিতে বিবেচনা ও যাচাই-বাছাই করে দলের শীর্ষস্থানে দায়িত্ব দেওয়া হবে।
জানা গেছে, এবার ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশীরা হলেন- ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সালমান খান প্রান্ত, বর্তমান কমিটির প্রচার সম্পাদক- জুয়েল পোদ্দার রানা, সহ-সম্পাদক সৈয়দ আদনান শান্ত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মারুফ হোসেন মিঠু, কাজী মিজান, আসাদুজ্জা আল গালিব (মিরপুর কলেজ সভাপতি), আকরাম হোসেন, রায়হান পারভেজ, তরিকুল ইসলাম রাহুল, সুলাইমান ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আশিক ইকবাল।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী সালমান খান প্রান্ত জানান, দলের জন্য ছাত্রলীগের জন্য সবসময় কাজ করেছি ভবিষ্যতেও করব। যতদিন বেঁচে আছি, দলকে সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যাব।
জানতে চাইলে প্রচার সম্পাদক জুয়েল পোদ্দার রানা জানান, কমিটিতে যারা আসবে তারাই সাংগঠনিক সক্ষমতা দিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করতে হবে। এজন্য দক্ষ এবং যোগ্যতা সম্পন্ন নেতাকেই ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আনতে হবে।
উত্তরের সহ সম্পাদক সৈয়দ আদনান শান্ত বলেন, আমি চাই মহানগরের প্রত্যেকটা ছাত্রই সুশিক্ষিত হোক। এজন্য আমার একাধিক কর্ম পরিকল্পনা রয়েছে এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে কোন অপশক্তির বিরুদ্ধে কাজ করতে মাঠে থাকবো।
উত্তরের সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক আশিক ইকবাল বলেন, ছাত্রলীগের আগামী নেতৃত্বে যেই আসুক না কেন আমরা ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের প্রতিটা নেতা কর্মী কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দলে জন্য কাজ করে যাবো এবং নেত্রীর সিন্ধান্তই চুড়ান্ত সিন্ধান্ত।