কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় পবিত্র গ্রন্থ কোরআন অবমাননার অভিযোগে ফাতেমা বেগম নামে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত ফাতেমা বেগম উপজেলার তিলাই ইউনিয়নের আজগর আলী ওরফে আসকর আলীর স্ত্রী।
মঙ্গলবার সকালে পুলিশ ওই নারীকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে। এই ঘটনায় বিভিন্ন ইসলামি সংগঠন ও ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনতা কোরআন অবমাননাকারীর শাস্তির দাবিতে আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার দিবাগত মধ্যরাতে ফাতেমা বেগমের সাথ তার স্বামীর ঝগড়া বাধে। ফাতেমা বেগমকে তার স্বামী সন্দেহ করতেন। স্বামীর সন্দেহ দূর করতে ঝগড়ার এক পর্যায় ফাতেমা বেগম কোরআন নিয়ে শপথ করতে যান। কিন্তু তার স্বামী গালমন্দ করতে থাকলে স্বামীর আচরণে ক্ষিপ্ত হয়ে ফাতেমা বেগম কোরআন ছুঁড়ে ফেলে অবমাননা করেন।
ফাতেমা বেগমের কোরআন অবমাননার ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকাবাসী ক্ষোভ ফুঁসতে থাকেন। অপরদিক কোরআন অবমাননার খবরটি বিভিন্ন ইসলামি সংগঠনের কাছে সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে তারা মঙ্গলবার সকালে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সাথে নিয়ে উপজেলার পাগলাহাট সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এসময় তারা কোরআন অবমাননাকারীর শাস্তি দাবি করেন। খবরে পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে অভিযুক্ত নারী ফাতেমা বেগমকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা কওমী ওলামা পরিষদের সভাপতি মুফতি মতিউর রহমান বলেন, আমরা কোরআন অবমাননাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। ভবিষ্যতে আর কেউ যেন বাংলাদেশে কোরআন অবমাননার সাহস না পায়।
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, কোরআন অবমাননার অভিযোগে আটক নারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালত পাঠানো হবে।