বাঁধন প্রধান,পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ সরকারি ভাবে স্থলবন্দর শুল্ক বিভাগ পাথর আমদানিতে শুল্ককর বৃদ্ধি করেছে। এরই প্রতিবাদে গত ৮ দিন ধরে দেশের সড়ক পথের একমাত্র চতুর্দেদেশীয় স্থলবন্দর পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধায় পাথর আমদানি বন্ধ রেখেছে ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা ইমরুল হোসেন পাটওয়ারী বলেন, পূর্বে আমদানিতে টন প্রতি ১২ ডলার এসএস মেন্ট গ্রহণ করা হলেও, নতুন করে সরকারি নির্দেশে গত ১ আগস্ট থেকে পার টনে ভেলু ১ ডলার বৃদ্ধি করে ১৩ ডলার করা হয়েছে। এতে করে ভ্যাটের পরিমাণ বেড়ে ৪১ টাকায় দাড়িয়েছে।
গত মঙ্গলবার থেকে পাথর আমদানি কার্যক্রম স্থগিত করেন আমদানিকারকরা (১ আগষ্ট )। এ ঘটনায় পাথর আমদানী নির্ভর এই বন্দেও স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। স্থলবন্দরে বর্তমানে শুনসান নিরবতা বিরাজ করছে।
গত ১ সপ্তাহ জুড়ে ব্যবসায়ী ও সহ¯্রাধক শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। কমেছে তাদের আয় রোজগার।
ব্যবসায়িরা বলছেন সরকারিভাবে রাজস্ব ফি বাড়ানোর কারণে পাথর আমদানিতে লোকসানের মুখে পড়তে হবে তাদের। ব্যবসায়ি হাফিজুর রহমান জানান ভারত ও ভূটানের মাঝে স্লট বুকিং ফি বাবদ চলা দ্বন্দ্বে পাথর আমদানি প্রায় ১ মাস ধরে বন্ধ থাকার পর গত মাসের শেষের দিকে আবারো ভারত থেকে আমদানি শুরু হয়। এরই মাঝে শুল্ককর বৃদ্ধিতে আবারো প্রতিবন্ধকতা শুরু হয়েছে।
স্থলবন্দরের পাথর ব্যবসায়ী ও সিএন্ডএফ এজেন্টরা জানান, বাংলাদেশ কাস্টমস বিদেশী পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি টনে ১৩ ডলার নির্ধারণ করায় ব্যবসায়ীদের পূর্বের তুলনায় ৫০ টাকা হারে বেশি রাজস্ব দিতে হবে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি রফতানি গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কুদরত—ই খুদা মিলন জানান গত ১ আগস্ট থেকে শুল্ক বিভাগ এস এসমেন্ট কর ১ ডলার বাড়ানোর কারণে ব্যবসায়ীরা পাথর আমদানি বন্ধ রেখেছেন। শুধু বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর না, একই অবস্থা শুরু হয়েছে অন্যান্য স্থলবন্দরেও। আমরা সকল বন্দর সংশ্লিষ্ট সংগঠনের নেতাদের নিয়ে এ বিষয়ে শুল্ক বিভাগের সাথে দ্রুত আলোচনা করবো।
বাংলাবান্ধা ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ দৈনিক আলোচিত কন্ঠকে জানান, এই বন্দরটি পাথর নির্ভরশীল হওয়ায় সরকার কোটি কোটি টাকার রাজস্ব আয় করছে। তবে চলমান সমস্যায় চলতি অর্থবছরের যে লক্ষ্য মাত্র রয়েছে তা থেকে পিছিয়ে পড়ছে সরকার। আশাকরি দ্রুত এই সমস্যা সমাধান হবে।