আরিফুজামান চাকলাদারঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা পৌরসভায় ৭ ও ৮ নং ওয়ার্ডে সীমানা ঘেষে বয়ে যাওয়া খালে আটকে থাকা পানি পচে দূর্গন্ধ ও মশার উপদ্রব এবং ডেঙ্গু মশার আতঙ্কে দিন কাটছে এলাকাবাসী এমন অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,বারাশিয়া নদী হতে কুসুমদি গ্রামে কাজী বাড়ী দিয়ে মোল্লা বাড়ি পর্যন্ত খালটি দৃশ্য মান রয়েছে।তারপর থেকে চেয়ারম্যান পাড়া ফসলি মাঠ পর্যন্ত ভরাট করে বসবাস শুরু করেছে।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক অনেকে অভিযোগ করে বলেন, দৃশ্যমান খালের দুই পাড়ে বসত বাড়ির সামনে পারাপারের জন্য মাটি ভরাট,ছোট ইউ ড্রেন,ছোট রিং ক্লাভাট দিয়ে সরকারি অনুমোদন ছাড়া রাস্তা বানিয়ে নিয়েছে। দুই পাড়ের বসতি ও ঐ এলাকার লোকজন সকল প্রকার ময়লা আবর্জনা ফেলায় পানি পচে দূর্গন্ধ ও মশার উপদ্রব বেড়েছে।এখন ডেঙ্গু মশার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে পৌরবাসি।
আমাদের এলাকায় কয়েক বছর কোন মশা ওষুধ ছটানো হয়নি।
ময়লা আবর্জনা ফেলা বন্ধ ও খাল খনন, খালটি দখল মুক্ত করে চির চেনা রুপে ফিরিরে দেওয়ার জোর দাবী পৌরবাসীর।
পাড়ে বসবাসরত সাবেক ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এস এম তৌকির আহমেদ ডালিম বলেন,পাকা রাস্তা খালের ভিতর দিয়ে যাওয়ায় খাল নষ্ট হয়ে গেছে।এবং খালের দুই মুখ বন্ধ হওয়ায় পানি আটকে গেছে।নদীর মুখে ব্রীজ উচু(অপরিকল্পিত ভাবে) করে করায় পানি বের হতে পারে না।পৌর মেয়র কাছে সকলের পক্ষে থেকে দাবী একটি ড্রেনেজ ব্যবস্হা করে পচা দূর্গন্ধ পানি নিষ্কাশন করা।
৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল মো. নুর ইসলাম বলেন,আগামী সোমবার মশা নিধন কাজ চলবে। খাল উদ্ধারে প্রস্তাব আগেই ছিল। আগামী ১৪ তারিখি একটা মিটিং আছে, খাল উদ্ধারে বিষয় আলোচনা হবে।
এদিকে পৌর মেয়র আলী আকসাদ ঝন্টুকে মুঠোফনে ফোন দিলে ফোন রিসিভ করেন নাই।
পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান ( মেয়রের পক্ষ) বলেন,সাবেক ইন্জ্ঞিনিয়ার(শরিফুল ইসলাম) নদীর মুখে ব্রীজ উচু করায় পানি আটকে থাকতো, পচা ও দূর্গন্ধ পানি অপসরণে জন্য ব্রীজের নিচে দ্রুত কাছ চলছে।দুইটি ফগার ও দুইটি লার্ভা( ডিম) মেশিনে মশা নিধন ষ্প্রে’ র কাজ চলমান।খাল উদ্ধারে বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের।