বিলালুর রহমান,সিলেটঃ ভারতীয় চোরাচালান ব্যবসা স্থায়ী ভাবে বন্ধ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী’র পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
সিলেট রেঞ্জ’র উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) শাহ মিজান সাফিউর রহমান বিপিএম (বার) পিপিএম বলেছেন, দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় চোরাচালান ব্যবসা স্থায়ী ভাবে বন্ধ করতে হলে সীমান্ত সু-রক্ষা বাহিনী (বিজিবি),পুলিশ ও সিভিল প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণের অংশ গ্রহনে সীমান্ত জনপদের মানুষের মধ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। একটি সুন্দর সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাষ্ট্রের সকল বাহিনীর সহযোগিতা করা প্রয়োজন। জনগণের সহযোগিতায় রাষ্ট্রীয় সকল বাহিনী এগিয়ে আসলে সীমান্ত জনপদে অবৈধ চোরাচালান ব্যবসা বন্ধ ও প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, সীমান্ত এলাকার থানা সহ দেশের উন্নয়নে পুলিশ বাহিনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলস ভাবে দায়িত্ব পালন করেছন। প্রতিনিয়ত সীমান্তে পুলিশী অভিযান পরিচালনা করে ভারতীয় অবৈধ পন্য আটক ও জব্ধ করা হচ্ছে।
তিনি জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার (ইনচার্জ) মো: ওমর ফারুক-কে সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান বিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখার নিদের্শনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, অতীতের যে কােন সময়ের চেয়ে বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশ প্রশাসন জনগনের কল্যাণে আন্তরিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সীমান্ত জনপদে বসবাসরত তরুন ও যুব সমাজের প্রতি কড়া নজর রাখতে তাদের অভিভাবকগণ-কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। আলোকিত সমাজ বিনির্মানে আমাদের তরুন প্রজন্ম-কে প্রকৃত শিক্ষা অর্জনে লেখাপড়ার প্রতি এগিয়ে আসার আহবান জানান।
গত ১০ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি জৈন্তাপুর উপজেলার সারী নদী-লালাখাল চা-বাগান,বালিদাড়া সহ বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন কালে স্থানীয় জনগণের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিশেষ (শাখা) আবু সুফিয়ান, জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার (ইনচার্জ) মো: ওমর ফারুক, ওসি (তদন্ত) আব্দুর রব, চারিকাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সিলেট জেলা পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ শাহজাহান, চারিকাটা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সেলিম আহমদ। এছাড়া লালাখাল সীমান্ত ফাড়ির (বিজিবি)’র সদস্য ও জৈন্তাপুর মডেল থানার অন্যান্য পুলিশ ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।