বিলালুর রহমান,সিলেটঃ জৈন্তাপুর সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ এক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ভারতীয় ১৫ টি মহিষ, ১৮টি ছোট-বড় গরু সহ ৩৭ বস্তা চিনি জব্ধ করেছে।
এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযাগে ৪ জন আসামী -কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার ভোর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা সদরের নিজপাট গৌরিসংকর-যশপুর এলাকায় পৃথক অভিযান চালিয়ে ভারতীয় মহিষ-গরু ও চিনি জব্ধ করা হয়।
সিলেটের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুন’র দিক-নিদের্শনায় জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার (ইনচার্জ) মো: তাজুল ইসলাম (পিপিএম)’র নেতৃত্বে অফিসার (তদন্ত) আব্দুর রব সহ পুলিশের একটি ফোর্স পৃথক অভিযান পরিচালনা করেন।
ভারতীয় চোরাচালান ব্যবসার সাথে জড়িত থাকায় অভিযাগে উপজেলার খারুবিল গ্রামের ফজর আলীর পুত্র মো: ইব্রাহিম আলী (২২), শাহ আলম মিয়ার পুত্র মো: ইয়াছিন আহমদ (২৩) এবং গৌরিসংকর গ্রামের সরাফত আলীর পুত্র সোহেল আহমদ (৩৫), ঘিলাতৈল গ্রামের সিরাজ আহমদের পুত্র এখলাছ আহমদ (২২)-কে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ভারতীয় আটক এসব মহিষ-গরু চিনি সহ আনুমানিক বাজার মুল্য ১৪ লক্ষ ১০ হাজার টাকা হবে। এই ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার (ইনচার্জ) মো: তাজুল ইসলাম (পিপিএম) বলেন, গোপন সংবাদ পেয়ে আমরা ভোর রাতে উপজেলা সদরের গৌরিসংকর-যশপুর এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করেছি। তিনি জানান,জৈন্তাপুর সীমান্তবর্তী এলাকায় চোরাচালান ব্যবসা বন্ধে পুলিশ সহ আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অপরাধ নিয়ন্ত্রনে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অবৈধ ভাবে ভারতীয় গরু-মহিষ চিনি সহ নানা পন্য আসা বন্ধ করতে এবং এই ব্যবসার সাথে জড়িত চোরাকারবারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, সীমান্ত চোরাচালান ব্যবসা বন্ধ ও প্রতিরোধ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী’র পাশাপাশি সমাজের সচেতন মহলের সহযোগিতা করা প্রয়োজন। চোরাচালান ব্যবসার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিষয়ে তথ্য দিয়ে পুলিশ-কে সহযোগিতা করার আহবান জানান।