তাহিরপুর,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় পাটলাই নদীতে টোলের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় তিন শুল্ক স্টেশন বড়ছড়া, চারাগাঁও ও বাগলির চুনাপাথর ও কয়লা আমদানিকারক সমিতির ডাকা নৌ ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিলেন ব্যাবসায়ীরা
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এই তিন শুল্ক স্টেশন থেকে নদীপথে কয়লা ও চুনাপাথর পরিবহন শুরু হয়েছে। এর আগে রোববার বিকেলে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বৈঠকে নদীতে অতিরিক্ত টাকা আদায় বন্ধের আশ্বাস পেয়ে নৌ ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়।
জানা যায়, গত ১০ সেপ্টেম্বর দুপুর থেকে কয়লা ও চুনাপাথর বিক্রয় এবং পাটলাই নদীপথে পরিবহন বন্ধ রাখেন দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় শুল্ক স্টেশন বড়ছড়া, চারাগাঁও ও বাগলির আমদানিকারকরা। সুনামগঞ্জের এসব শুল্ক স্টেশনের প্রায় ৭০০ আমদানিকারক পাটলাই নদী দিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চুনাপাথর ও কয়লা পাঠান। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, তাহিরপুরে পাটলাই নদীতে বিআইডব্লিউটিএ’র নামে নৌকা প্রতি ১০ থেকে ২০ হাজার টাকাও আদায় করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রশিদ দেওয়া হয় না বলেও অভিযোগ আছে। এ কারণে এই শুল্ক স্টেশনের ক্রেতা কমে যাচ্ছে, নৌযানও এই পথ দিয়ে কম আসছে। এ অবস্থায় অনির্দিষ্টকালের জন্য মালামাল বিক্রি ও পরিবহন বন্ধ রেখেছিলেন ব্যবসায়ীরা।
নৌ ধর্মঘট প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক সমিতির সচিব রাজেশ তালুকদার। তিনি বলেন, আজ থেকে ক্যারিং চলছে। ধর্মঘট প্রত্যাহার করায় শ্রমিকরা আবার কাজের সুযোগ পেয়েছেন। আবারো প্রানচঞ্চলতা ফিরে আসবে সবার মাঝে।
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিএ‘র সহকারী পরিচালক সুব্রত রায় বলেন, নদীতে বিআইডব্লিউটিএ’র একটা রেট আছে। সেই অনুযায়ী টোল আদায় করা হবে। কারণ, এখানে ইজারা দেওয়া আছে। আমাদের ইজারাদারদের কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, টোল আদায়ের সাথে সাথে স্লিপ দিতে হবে। এর বাইরে কোনো অনিয়ম হবে না। কেউ নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি টাকা আদায় করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।