উপজেলা প্রতিনিধি,মোঃ মিজানুর রহমান কালুঃ রাজশাহীর দূর্গাপুরের মেয়ে শিক্ষিকা বলেন, শিশু মানেই নিষ্পাপ ঝলমলে মুখ, মায়াময় আকর্ষণ অপার সম্ভাবনা। প্রত্যেক শিশুর মধ্যেই লুকায়িত থাকে অনন্য সুপ্ত প্রতিভা।
তাদের মধ্যে ওই প্রতিভাকে জাগিয়ে তুলতে নিরলস পরিশ্রম-ই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সার্থকতা।কোমলমতি শিশুদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত প্রতিভা জাগিয়ে তোলার মধ্য দিয়ে উদ্ভাসিত হয় আগামী দিন।
আজকের শিশুরাই আগামী দিনের পরিণত মানুষ। তারাই বড়দের স্বপ্ন, জাতির উত্তরাধিকার ও জাতির কর্ণধার। আজ যারা শিশু- তারাই একদিন হবে শিক্ষক, অধ্যাপক, কবি, সাহিত্যিক, সেনাপতি, বিজ্ঞানী, দার্শনিক, অর্থনীতিবিদ ও শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রনায়ক।
তারা শুধু পিতা-মাতার আরাধনার ধন নয়, বরং দেশ ও জাতির সম্পদ এবং শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ। শিশুদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশ নিশ্চিত হলে দেশ ও জাতির ওপর পড়বে এর প্রত্যক্ষ প্রভাব।
তাই এ অনন্ত সম্ভাবনাময় সম্পদকে রক্ষা করা ও সুন্দর ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করার বিষয়টি অধিকতর জরুরি। শিশুর মন, বুদ্ধিমত্তা, আদব-কায়দা, নৈতিকতা ইত্যাদি দিকে তার বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে।কোমলমতি শিশুদের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বর্তমানে যে শিক্ষাক্রম নির্ধারণ করেছে, তা তার মেধা বিকাশের জন্য যথেষ্ট।
অতি উৎসাহী অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে না পাঠিয়ে কিন্ডারগার্টেন বা কেজি স্কুলে পাঠান। শিশুকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণিতে যেখানে ২টি বিষয়ে পড়ানো হয়, সেখানে কিজি স্কুলগুলোয় ৬টি বিষয়ে পড়ানো হয়।
এছাড়া তৃতীয় শ্রেণিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ানো হয় ৬টি বিষয়। অন্যদিকে কেজি স্কুলগুলোয় পড়ানো হয় ১১টি বিষয়। এতে কোমলমতি শিশুরা মানসিকভাবে অনেক চাপে পড়ে। কেজি স্কুলগুলোয় শিশুরা হয়তো সাময়িকভাবে ভালো ফল করে।