স্টাফ রিপোর্টার,আজহারুল ইসলাম সাকী সবজি বাজারের অস্থিরতা আর আগুন ঝরা মূল্য বৃদ্ধির পাগলা ঘোড়া ছুটছে তো ছুটছেই। বাজার ব্যবস্থায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর মুল্য বৃদ্ধির সাথে সংযোগ ঘটেছে সবজির মূল্য বৃদ্ধির মহাউৎসব, বাজারে বাজারে সবজির উপস্থিতির ঘাটতি না থাকলেও মুল্য বৃদ্ধির প্রবনতা থামছে না। সাতক্ষীরার হাটবাজার গুলোতে সবজির মূল্যের ঝাজ দীর্ঘ দিনের। যতই দিন যাচ্ছে ততোই বাড়ছে মুল্য। অতি সম্প্রতি গোল আলুর মুল্য অতীতের সব ধরনের মূল্যের রেকর্ড অতিক্রম করেছে। সবজির সবজি এবং সব ধরনের সবজির সাথে একত্রীভূত গোল আলু নিজেই সবজি। সাম্প্রতিক বছর গুলোতে আলুর মূল্য মৌসুমের শুরুতে কেজি প্রতি ১০/১২ টাকায় বিক্রয় হয়ে আসছে। মৌসুম শেষে ২০/২৫ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হলেও বর্তমানে সাতক্ষীরার হাট বাজার গুলোতে গোল আলু কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০/৪২ টাকা যা রিতিমত অস্বাভাবিক নয়, বিস্ময়করও বটে। তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে আলুর বাজার হিমাগার সিন্ডিকেটের হাতে বন্দী। সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরার হিমাগারগুলোতে পর্যাপ্ত আলু মওজুদ থাকলেও আলু মালিকরা বাজার পরিস্থিতি বিবেচনা করে আলু উত্তোলন করছে। লক্ষ্য অধিক মূল্য পাওয়া চাহিদা অনুযায়ী আলী সরবরাহ না করায় আলুর বাজার কেবল অস্থির নয় সিন্ডিকেট চক্রের হাতে বন্দী। সাতক্ষীরা বরাবরই শষ্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত। এই জেলায় খাদ্য শষ্য উৎপাদনের পাশাপাশি নানান ধরনের সবজি ও কাটা খন্দক উৎপাদন হয়। কিন্তু মূল্য বৃদ্ধির দৌরাত্ব দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। গত কয়েক দিন যাবৎ জেলা শহরের বড় বাজার হতে শুরু করে মফস্বলের হাটবাজার গুলোতে ঘুরে দেখা গেছে সবজির ঘাটতি নেই কিন্তু মুল্য বৃদ্ধির পাগলা ঘোড়া ছুটেই চলেছে। কাঁচাঝালের স্বাভাবিক বাজার চড়া, কেজিতে নয় কাঁচাঝাল বিক্রি হচ্ছে ত্রিশটাকা প্রতি একশত (ওজন) মিষ্টি কুমড়ার বাজার বরাবরই সহনীয় থাকলে কেজি প্রতি ৩০/৩৫ টাকা, ইতিপূর্বে কেজি প্রতি বিক্রি হতো ১৫/২০ টাকা,ঔষধী সবজি হিসেবে পিপের তুলনা নেই। প্রতি কেজি পিপে বিক্রি হচ্ছে ৩০/৩৫ টাকায় স্বাভাবিক বাজার দর কেজি প্রতি ১৫/২০ টাকা, কাঁচকলা সারা বছরই পাওয়া যায় ইতিপূর্বে সর্বোচ্চ মূল্য কেজি প্রতি ৩০/৩৫ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে সাতক্ষীরার হাট বাজার গুলোতে প্রতিকেজি কাচকলা ৪০/৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খিরা কেজি প্রতি ৫০/৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঢেড়শ কেজি প্রতি ৩৫/৪০ টাকা, ওল ৬০/৭০, কচুমুখির মূল্য অস্বাভাবিক পর্যায়ে পৌছেছে কেজি প্রতি ৬০/৭০ টাকা, পুইশাক বরাবরই কেজি প্রতি ১০/১৫ টাকায় বিক্রি হলেও বর্তমানে প্রতি কেজি পুঁইশাক ৪০/৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারী সাইজের লাউ ৪০/৪৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বাজারে নতুন সিমের আগমন ঘটলেও তা সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে কেজি প্রতি ছিম ১৭০ হতে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজি বাজারেও সিন্ডিকেটের ছোয়া, জেলায় ও জেলার বাইরের সবজি গুটিকয়েক পাইকারী ব্যবসায়ী ক্রয় করে তারা নিজেদের ইচ্ছামত মুল্য নির্ধারন করে বিক্রি করছে। সাতক্ষীরার বাস্তবতায় সবজির আগুন ঝরা নিয়ন্ত্রন করনে এবং সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে জেলায় সবজির উৎপাদন বৃদ্ধির বিকল্প নেই। বর্তমান বাজার নিয়ন্ত্রন ও মনিটরিং এ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।