লিপন খান,কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
করিমগঞ্জের দক্ষিন নানশ্রী গ্রামে অত্যাচার নির্যাতন ও হুমকির প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জে স্বামী-সন্তান হারা জাহেরা খাতুন (৬০) সংবাদ সম্মেলন করেছে ।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন বিএমইউজে এর জেলা কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মোছা: জাহেরা খাতুন (৬০) তার বক্তব্যে বলেন,
আমি একজন নিরীহ ও অন্যের বাড়িতে জিয়ের কাজ করে চলি। আমার স্বামী সন্তান নেই, অন্যের বাড়িতে কাজ করে নিজের জীবন ধারণ করি। এরমধ্যে অবশিষ্ট কিছু টাকা তিলে তিলে আমার চাচাতো ভাইপো একই সাকীনের জালাল উদ্দীন ও তার স্ত্রীর নিকট জমা করতে থাকি। জমানো মোট টাকা ৭৫ হাজার হওয়ার পর গত ৫ নভেম্বর রোজ রবিবার আমার টাকার প্রয়োজন হওয়ায় আমি আমার জমানো টাকা ফেরত চাইলেই ঘটে বিপত্তি। আমার পাওনা টাকা না দিয়ে আমাকে বলে আমার ৩ শতাংশ জমি/বাড়ি লিখে দিলেই তোমার টাকা ফেরত পাইবে। এতে আমি রাজি না হওয়ায় আমার উপর নেমে আসে তাদের অত্যাচারের খর্গ। আমাকে একা পেয়ে আমার বাড়িতে এসে একই গ্রামের জালালুদ্দিন ও দ্বীন ইসলাম গংরা
আমার উপর চালায় অমানুষিক নির্যাতন। তারা আমার উপর অত্যাচার নির্যাতন করে আমাকে রক্তাত্ব আহত করে।
প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। এ সময় হাসপাতালে দ্বিন ইসলাম গংরা এসে মামলা না করার জন্য আমাকে হুমকি দিয়ে যায়।
এরপর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ হয়ে আদালতে মামলার আর্জি জানিয়ে বাড়িতে গিয়ে দেখি আসামীরা আমার ঘরে থাকা আসবাবপত্র ঘটিবাটি, বিছানাপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়।
এছাড়াও বর্তমানে আমি তাদের অত্যাচার ও হুমকীর মুখে বাড়ি ছাড়া দিনাতিপাত করছি গত ১৮ দিন যাবৎ। আমার মামলার স্বাক্ষীগণের বাড়িতে গিয়েও হুমকি দিচ্ছে যেন সাক্ষী না দেয়। আমাকেও মামলা উঠিয়ে নেয়ার জন্য প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে।
বাড়ির আসবাবপত্র ফিরিয়ে দেয়ার নিমিত্তে ১৯ নভেম্বর সালীশ-দরবারকেও তারা তা অগাহ্য করে। একদিকে তাদের নির্যাতনে অসুস্থ আমি এখন তাদের অত্যাচার আর হুমকীতে এখন জীবন বাচানোয় দায়। ফলে এখন আমি পালিয়ে অন্যের বাড়িতে বসবাস করেও শেষ রক্ষা মিলছে না।
ইতিপূর্বে ভূয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে আমার পিতাকে নিঃসন্তান দেখিয়ে আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করে উক্ত গংরা। প্রতিনিয়ত আমাকে হত্যার হুমকীসহ আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করছে।
তাই আমি একজন বয়োবৃদ্ধা নারী হিসেবে জীবনের নিরাপত্তাসহ সু-বিচার দাবি করেন সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মোছাঃ জাহেরা খাতুন।